লাভপুরে তৃণমূল বনাম তৃণমূল লড়াইয়ে খুন

তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বীরভূমের লাভপুর। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল একজনের। অভিযোগ, গতকাল রাতে স্থানীয় বিধায়ক মণিরুল ইসলামের অনুগামীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিরোধী গোষ্ঠীর ওপর হামলা চালায়। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেন বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজন। অবরোধ তুলতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পুলিসকে। ভাঙচুর হয় পুলিসের গাড়ি।

Updated By: Nov 18, 2012, 06:14 PM IST

তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বীরভূমের লাভপুর। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল একজনের। অভিযোগ, গতকাল রাতে স্থানীয় বিধায়ক মণিরুল ইসলামের অনুগামীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিরোধী গোষ্ঠীর ওপর হামলা চালায়। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেন বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজন। অবরোধ তুলতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পুলিসকে। ভাঙচুর হয় পুলিসের গাড়ি।
দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি চলছিল তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলাম এবং তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর মধ্যে। রবিবার চিত্তরঞ্জন মণ্ডলের মৃত্যুতে তা চরম আকার নেয়। অভিযোগ, শনিবার গভীর রাতে স্থানীয় বিধায়ক মণিরুল ইসলামের অনুগামীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিরোধী গোষ্ঠীর ওপর হামলা চালায়। লাভপুরের বিপ্র টিকুড়ি গ্রাম তখন ঘুমে আচ্ছন্ন। অভিযোগ, হামলাকারীদের গুলিতে বেশ কয়েকজন জখম হন। রবিবার ভোরে আহতদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মৃত্যু হয় চিত্তরঞ্জন মণ্ডলের।
মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছলে পথ অবরোধ শুরু করেন মণিরুল ইসলাম বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজন। লাভপুর-বোলপুর সড়কের অবরোধ তুলতে পুলিস পৌঁছলে ক্ষোভ আরও বাড়ে। পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। ভাঙচুর চালানো হয় পুলিসের গাড়িতে। মণিরুল বিরোধী গোষ্ঠীর অভিযোগ, পুলিসের মদতেই স্থানীয় বিধায়কের এমন বেপরোয়া মনোভাব। বিপ্র টিকুড়ি গ্রামের উত্তেজনার আঁচ পৌঁছয় কেশিয়ারিতে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় মণিরুল গোষ্ঠীর বেশ কয়েকটি চালাঘর। যাঁকে ঘিরে দলেরই একাংশের এত ক্ষোভ, সেই মণিরুল ইসলাম কিন্তু গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ মানতে নারাজ।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে তত্‍পর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতা-কর্মীদের কাছে নেত্রীর বার্তা পৌঁছে দিতে বোলপুরে পর পর দুদিন সভাও করেন মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তা যে কাজে আসেনি, লাভপুরের ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।
 

.