মধ্যযুগীয় বর্বরতার নিদর্শন এবার পুরুলিয়ায়, ডাইনি সন্দেহে দিনের পর দিন অত্যাচারিত প্রৌড়া
ডাইনি অপবাদে দিনের পর দিন নির্যাতনের শিকার হলেন প্রৌঢ়া। খাস পুরুলিয়া শহরে ঘটেছে এই ঘটনা। গতকাল থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ওই মহিলা। পরিবারের অভিযোগ, প্রতিবেশীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে, আতঙ্কে ঘর ছেড়েছেন প্রৌঢ়া। পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছে নির্যাতিত পরিবার। মধ্যযুগীয় বর্বরতার এ এক চরম নজির।
ব্যুরো: ডাইনি অপবাদে দিনের পর দিন নির্যাতনের শিকার হলেন প্রৌঢ়া। খাস পুরুলিয়া শহরে ঘটেছে এই ঘটনা। গতকাল থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ওই মহিলা। পরিবারের অভিযোগ, প্রতিবেশীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে, আতঙ্কে ঘর ছেড়েছেন প্রৌঢ়া। পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছে নির্যাতিত পরিবার। মধ্যযুগীয় বর্বরতার এ এক চরম নজির।
ওঝার নিদানে, ষাট বছরের প্রৌঢ়াকে ডাইনি সাব্যস্ত করে চলল অত্যাচার।
পুরুলিয়া শহরের ষোলো নম্বর ওয়ার্ডে খেজুরাডাঙার বাসিন্দা গায়ত্রী মোদক। কিছুদিন আগে ওই পাড়ার কয়েকজন বাসিন্দা পরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন। অভিযোগ এলাকারই এক ওঝা নিদান দেয়, যা কিছু ঘটছে সবের জন্যই দায়ী নাকি ওই প্রৌঢ়া!
ওঝাই নির্দেশ দেয়, গয়ায় গিয়ে ভূতপ্রেতের নামে পিণ্ডদান করতে হবে ওই প্রৌঢ়াকে। নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে রীতিমতো ধারদেনা করে, গয়ায় গিয়ে পিণ্ডদানও করে মোদক পরিবার। কিন্তু এতেও অব্যাহতি মেলেনি।
লাগাতার অত্যাচার চলছিল। উঠেছে মারধরেরও অভিযোগ। শেষপর্যন্ত আতঙ্কেই কি ঘর ছেড়ে বেপাত্তা ওই প্রৌঢ়া?
তাঁর পরিবার ইতিমধ্যে পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছে। যদিও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে আঙুল উঠেছে পুলিসের দিকেও। এতকিছুর পরও এলাকায় বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ওঝা সহ অভিযুক্তেরা।