পুরভোটে চ্যালেঞ্জের মুখে তিন পক্ষই

পুরনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ রাজ্যের ৬টি পুরসভায়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই ভোট কংগ্রেস-তৃণমূল ও বামফ্রন্ট তিন পক্ষের কাছেই বড় চ্যালেঞ্জ। তাঁদের মতে, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক দক্ষতারও পরিচয় হতে চলেছে এবারের পুরভোট।

Updated By: Jun 3, 2012, 11:06 AM IST

পুরনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ রাজ্যের ৬টি পুরসভায়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই ভোট কংগ্রেস-তৃণমূল ও বামফ্রন্ট তিন পক্ষের কাছেই বড় চ্যালেঞ্জ। তাঁদের মতে, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক দক্ষতারও পরিচয় হতে চলেছে এবারের পুরভোট।

এক নজরে ভোটে যাওয়ার আগে ৬টি পুরসভায় কোন পক্ষ সংখ্যার নিরিখে কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।
দুর্গাপুর পুরনিগম রয়েছে বামফ্রন্টের দখলে
মোট আসন - ৪৩
বামফ্রন্ট - ৩৬
তৃণমূল - ৪
কংগ্রেস - ৩
অন্যান্য - ০
নলহাটি পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূল কংগ্রেস
মোট আসন - ১৬
তৃণমূল - ৯
বামফ্রন্ট - ৪
কংগ্রেস - ২
অন্যান্য - ১
ধূপগুড়ি পুরসভায় বামেরা সংখ্যা সংখ্যাগরিষ্ঠ
মোট আসন - ১৬
বামফ্রন্ট - ১১
তৃণমূল - ৩
কংগ্রেস - ১
অন্যান্য - ১
হলদিয়া পুরসভা রয়েছে বামেদের দখলে
মোট আসন - ২৬
বামফ্রন্ট - ১৯
তৃণমূল - ৬
কংগ্রেস - ১
অন্যান্য - ০
পাঁশকুড়া পুরসভায় বোর্ড কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের দখলে 
মোট আসন - ১৭
বামফ্রন্ট - ৭
তৃণমূল - ৬
কংগ্রেস - ২
অন্যান্য - ২
নদিয়ার কুপার্স ক্যাম্প কংগ্রেসের দখলে
মোট আসন - ১২
কংগ্রেস - ১০
বামফ্রন্ট - ১
তৃণমূল - ১
অন্যান্য - ০
এবার কংগ্রেস-তৃণমূল জোট না-হওয়ায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভোটের লড়াই ত্রিমুখী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ৬টি পুরসভার এই ভোট কংগ্রেস-তৃণমূল এবং বামফ্রন্ট তিনপক্ষের কাছেই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ, এই ভোট থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বামেরা। কংগ্রেস চাইবে পুরভোটে ভালো ফল করে রাজ্যে নিজেদের রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা টিকিয়ে রাখতে। আর তৃণমূলে কাছে চ্যালেঞ্জ, রাজ্য রাজনীতিতে নিজেদের একাধিপত্য কায়েম করা। রাজ্য সরকারের কাছেও এই পুরভোট এক চ্যালেঞ্জ। ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের এটাই প্রথম কোনও বড়মাপের নির্বাচন। সেক্ষেত্রে, অবাধ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন করাতে রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক দক্ষতারও পরীক্ষা হতে চলেছে এবারের পুরভোট। এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
 
 

.