ঢোলায় গুলি চালানোর কথা স্বীকার করে নিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিস
ঢোলায় গুলি চালানোর কথা স্বীকার করে নিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিস। তাদের দাবি, জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাল শূন্যে দু রাউন্ড গুলি চালানো হয়। তবে, কখনই জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়নি বলে দাবি পুলিসের। পুলিসের পাল্টা অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকেই গুলি চালানো ও বোমা ছোড়া হয়। যার পরিনামেই মৃত্যু হয় আবদুস সালাম লস্করের।
ওয়েব ডেস্ক: ঢোলায় গুলি চালানোর কথা স্বীকার করে নিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিস। তাদের দাবি, জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাল শূন্যে দু রাউন্ড গুলি চালানো হয়। তবে, কখনই জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়নি বলে দাবি পুলিসের। পুলিসের পাল্টা অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকেই গুলি চালানো ও বোমা ছোড়া হয়। যার পরিনামেই মৃত্যু হয় আবদুস সালাম লস্করের।
আবদুস সালাম লস্কর। ইদের ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। ফেরা হল না। ঠিক কী ঘটেছিল ঢোলাহাটে? রবিবার বিকেল। ব্যবসায়ী রউফ লস্করের খুনে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে ঢোলাহাট থানার সামনে জড়ো হন একদল গ্রামবাসী। থানায় সেসময় সাকুল্যে জনা ১৫ পুলিস কর্মী। আচমকাই মিছিলের একটা অংশ থেকে পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোঁড়া শুরু হয়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় গাড়িতে। উত্তেজিত জনতার একটা অংশ থানার মধ্যেও ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। আচমকা আক্রমণে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়ে পুলিস।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ডাক পড়ে EFR ও RAF-র। কিন্তু, বিক্ষোভকারীদের বাধায় এলাকায় ঢুকতে সমস্যা হয় তাদেরও। পুলিসকে লক্ষ্য করে একের পর এক উড়ে আসতে থাকে একের পর এক বোমা। কিন্তু, তারপরও সামাল দেওয়া যায়নি পরিস্থিতি। নিরুপায় হয়ে শূন্যে দু রাউন্ড গুলি চালায় পুলিস। যদিও, গ্রামবাসীরা কিন্তু অন্যকথা বলছেন।
রাত নটার কিছু পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। রাতভর তল্লাসি চালিয়ে ৪৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, সরকারি কাজে বাধা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, সরকারি কর্মীদের মারধর, অবৈধ জমায়েত ও দাঙ্গা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে থমথমে ঢোলাহাট। কার্যত কারফিউয়ের চেহারা নিয়েছে গোটা এলাকা। মোতায়েন হয়েছে EFR। সকাল থেকেই পরিস্থিতি তদারকি করছিলেন ঢোলাহাটের অ্যাডিশনাল এসপি। বিকেলের দিকে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার ও জেলা পুলিস সুপার জেলা শাসক। গ্রামে আসে জমিয়েত-এ-উলেমার প্রতিনিধি দলও। শাস্তি বৈঠকের কথা বললেও তাদের অভিযোগ পুলিসের দিকেই। বিকেলের পর থেকে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। দোকানপাট খুলেছে। ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে ঢোলাহাট।