বনধের দিন 'শাসন', আজ 'শাস্তি', রাজ্যজুড়ে চলল শাসকের দাদাগিরি
কাল শাসন আর আজ শাস্তি। বনধ শেষ। কিন্তু শাসকের দাদাগিরি! তা চলছেই। ধর্মঘটে স্কুল না খোলায় কোথাও প্রধান শিক্ষককে মারধর, কোথাও বাস চালাতে বাধা, কিংবা ব্যাঙ্কের সামনে জঞ্জাল ফেলে দেওয়া। শাসকের আদালতে দোষীদের ওপর, শাস্তির খাড়া নামল জেলায় জেলায়। পুলিস নীরব দর্শক।
ব্যুরো: কাল শাসন আর আজ শাস্তি। বনধ শেষ। কিন্তু শাসকের দাদাগিরি! তা চলছেই। ধর্মঘটে স্কুল না খোলায় কোথাও প্রধান শিক্ষককে মারধর, কোথাও বাস চালাতে বাধা, কিংবা ব্যাঙ্কের সামনে জঞ্জাল ফেলে দেওয়া। শাসকের আদালতে দোষীদের ওপর, শাস্তির খাড়া নামল জেলায় জেলায়। পুলিস নীরব দর্শক।
বনধের দিন 'শাসন'। বনধের পর 'শাস্তি'।
চোখে-মুখে আতঙ্ক। যেন মৃত্যুভয়ে সিঁটিয়ে শিক্ষকরা। মারধর, হেনস্থার শিকার মালদার মানিকচকে মথুরাপুর BSS স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তাঁর দোষ, বুধবার বনধে স্কুল বন্ধ ছিল।
স্কুলেরই সাতটি ঘর নিয়ে, পাশে চলে মানিকচক কলেজ। তার ছাত্র সংসদ টিএমসিপির দখলে। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার তাঁরাই ঢুকে তাণ্ডব চালায় স্কুলে।
স্কুলের ছাত্ররাও পাল্টা ব্যাপক ভাঙচুর চালায় কলেজের ঘরগুলিতে।
পঞ্চায়েত অফিসে বড় তালা । কোনও ছুটিছাটা নয়। এ হল শাস্তি। বিডিও-র কোপে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কুলপি থানার রামকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত।
ওপরওলার নির্দেশেই কি তাহলে তালা ঝোলালেন বিডিও?
ড্রেন থেকে বের করে সব জঞ্জাল ব্যাঙ্কের ঠিক সামনে। এও এক শাস্তি। ধর্মঘটে ব্যাঙ্ক বন্ধ রাখার শাস্তি।
অভিযোগ পুরপিতার নির্দেশে, তার ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি জঞ্জাল ব্যাঙ্কের মুখে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ধর্মঘটের দিন যে কর্মীরা কাজে আসেননি, তাঁরা ঢুকতে পারবেন না বৃহস্পতিবারও। ফতোয়া শাসক দলের। এতেই রণক্ষেত্র ধনেখালির এই কারখানা। কাজ বন্ধ করে দেন বাকি শ্রমিকরাও।
অভিযোগ, শুধু মারধর নয়, ছুরিও চালানো হয় শ্রমিকদের ওপরে।
ধর্মঘটের দিন বাস না চালানোর জের। যাত্রী না তোলার ফতোয়া দিল শাসক দল। বৃহস্পতিবার এই হুমকির মুখে পড়ে বাঁকুড়া-রাণীগঞ্জ রুটের একের পর এক বাস ফিরে গেল যাত্রী না নিয়েই।
বাস চলাচলে শাসকের ফতোয়া জারি হয় হুগলিতেও। চণ্ডীতলার মশাটে, সুচিয়া কলেজের সামনে এদিন পথ অবরোধ করে টিএমসিপি। যাত্রী নামিয়ে বন্ধ করিয়ে দেওয়া হয় বাস চলাচল।
বাস পরিষেবায় কোপ পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরেও। এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের গোপীগঞ্জে, হাওড়াগামী একটি বেসরকারি বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেয় তৃণমূল কর্মীরা। ক্ষুব্ধ বাস মালিকরা গোপীগঞ্জ স্ট্যান্ড থেকে সমস্ত রকম বাস পরিষেবা বন্ধ করে দেন। গোপীগঞ্জ বাজারে পথ অবরোধ হয়। সামিল হন যাত্রীরাও।