পেনশন সংকটে পরিবহন দফতর

পেনশন নিয়ে গভীর সংকটে পরেছেন সরকারি পরিবহণ সংস্থার কয়েক হাজার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। প্রায় তিন মাস হয়ে গেল পেনশন বন্ধ। জুলাই মাসের পর থেকে পেনশন পাননি সিএসটিসি অথবা উত্তরবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার কোনও কর্মী।কবে থেকে পেনশন পাবেন তাও জানেন না পরিবহণ সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা।

Updated By: Sep 28, 2011, 12:25 PM IST

পেনশন নিয়ে গভীর সংকটে পরেছেন সরকারি পরিবহণ সংস্থার কয়েক হাজার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। প্রায় তিন মাস হয়ে গেল পেনশন বন্ধ। জুলাই মাসের পর থেকে পেনশন পাননি সিএসটিসি অথবা উত্তরবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার কোনও কর্মী।কবে থেকে পেনশন পাবেন তাও জানেন না পরিবহণ সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। কেন এই সংকট? রাজ্য সরকারের দাবি, তীব্র অর্থ সংকট। সেকারণেই পেনশন দিতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।
রাজ্য সরকারের তরফে এখনও অবশ্য এর কোনও জবাব মেলেনি। বামফ্রন্টের ৩৪ বছরে বহুবার অর্থ সংকটের মুখে সরকারকে পড়তে হলেও কর্মীদের পেনশন বন্ধ হয়ে গেছে এরকম কোনও নজির অবশ্য নেই। অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিবহণ সংস্থার কর্মীদেরও প্রায় প্রতিবছরই পেনশন বেড়েছে, স্বীকার করেছেন সংস্থার কর্মীরাই। ফলে আচমকা পেনশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গভীর পরিবার নিয়ে গভীর সংকটের মুখে
পড়তে হয়েছে কয়েক হাজার কর্মীকে।

রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পরিবহণ সংস্থার ভরতুকি কমানোর জন্য উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। সরকারি পরিবহণ সংস্থার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ভবিষ্যতে ভরতুকির অর্থ দিতে অপারগ রাজ্য পরিবহণ দফতর। নিজেদের খরচ নিজেদেরকেই চালাতে পরিবহণ সংস্থাগুলিকে। অবসরপ্রান্ত কর্মীদের পাল্টা দাবি, সংস্থার খরচ কমানোর সঙ্গে পেনশন বন্ধের কোনও সম্পর্ক থাকার কারণ নেই। কারণ পেনশনের অর্থ তাদের হকের টাকা। এই অর্থ বন্ধ করে দেওয়ার কোনও অধিকার কোনও সরকারেরই থাকতে পারেনা। তাদের সমস্যার কথা জানিয়ে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা ইতমধ্যেই চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জবাব অবশ্য মেলেনি। আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে রাজি
অবসরপ্রান্ত কর্মীরা। কিন্তু তার মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে পূজোর পর রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।

.