'অসুস্থ মায়ের কাছে যেতে চাই', করুণ আর্তি বাংলার শ্রমিককের, পাশে দাঁড়ালেন সোনু সুদ

মুম্বইয়ের গোরেগাঁওয়ে আটকে পড়া বাংলার এক শ্রমিককে বাড়ি ফেরাতে উদ্যোগী হলেন সোনু। 

Edited By: রণিতা গোস্বামী | Updated By: Jul 11, 2020, 03:12 PM IST
'অসুস্থ মায়ের কাছে যেতে চাই', করুণ আর্তি বাংলার শ্রমিককের, পাশে দাঁড়ালেন সোনু সুদ

নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাউনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাচ্ছেন সোনু সুদ। এবার পাশে দাঁড়ালেন বাংলার এক শ্রমিকের। মুম্বইয়ের গোরেগাঁওয়ে আটকে পড়া বাংলার এক শ্রমিককে বাড়ি ফেরাতে উদ্যোগী হলেন সোনু। 

মুম্বইয়ের গোরেগাঁওয়ে আটকে থাকা সুভাষ মহাপাত্র নামে ওই শ্রমিক টুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। ওই ভিডিয়োর মাধ্যমেই সোনু সুদকে তিনি তাঁর সমস্যার কথা জানান। ভিডিয়োতে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ''আমি একজন গায়ক, পাশাপাশি গাড়িও চালাই। তবে লকডাউনে আমার দুটো কাজই চলে গিয়েছে। ৪ মাস ধরে আমি বেকার। আমি পশ্চিমবঙ্গে আমার গ্রামের বাড়িতে ফিরতে চাই। গ্রামে আমার মা ভীষণই অসুস্থ। উনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। যদি আমাকে সাহায্য করেন তো খুবই উপহার হয়। আমি এর আগেও টুইট করেছিলাম, তবে উত্তর পাইনি। আপনি অনেককেই সাহায্য করছেন, তাই আমাকেও যদি সাহায্য করেন, খুব উপকার হয়।''

আরও পড়ুন-''সুশান্তের মৃত্যুতে শাহরুখ, সলমন, আমির খানরা চুপ কেন?'' প্রশ্ন তুললেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী

সুভাষ মহাপাত্র নামে ওই শ্রমিকের টুইটটি সোনুর নজরে আসতেই উত্তর দিয়েছেন অভিনেতা। উত্তরে সোনু লিখেছেন, ''মাকে জানিয়ে দিন যে আপনি বাড়ি ফিরছেন। ঈশ্বর ওনাকে লম্বা আয়ু দিন। দেরি হওয়ার জন্য ক্ষমা করবেন।''

তবে শুধু বাংলার শ্রমিককেই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিপদে পড়া শ্রমিক, গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন সোনু। সম্প্রতি, দিল্লি থেকে জম্মু ফেরার পথে ভুল ট্রেনে ধানবাদ পৌঁছে গিয়েছিলেন এক শ্রমিক। খবর পেয়ে তাঁকেও সাহায্য করেন সোনু। আবার বাড়ির অভাবে রাস্তায় শুয়ে থাকা এক বৃদ্ধের খাবার ও বাড়ির ব্যবস্থাও করেন সোনু।

আরও পড়ুন-কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন কোভিড আক্রান্ত কোয়েল ও তাঁর পরিবার, কেমন আছে অভিনেত্রীর শিশু সন্তান?

প্রসঙ্গত, লকডাউনে এভাবেই অসংখ্য পরিযায়ী শ্রমিককে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সোনু সুদ। নিরাপদে তাঁদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করছেন। এমনকি রাস্তায় যাতে খাবারের সমস্যা না হয়, সেই ব্যবস্থাও করেছেন তিনি। তবে নিজেই একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে প্রতিদিনই হাজার হাজার টুইট, এসএমএস, ফোনকল ঢুকছে। তিনি চেষ্টা করছেন, যাতে কোনও টুইট, এসএমএস বা ফোন যেন চোখ না এড়িয়ে যায়। তবুও যদি কারোর কাছে কোনওভাবে সাহায্য পৌঁছতে দেরি হয়ে যায়, তাহলে তাঁকে যেন ক্ষমা করে দেওয়া হয়।

.