খালিপেটে বেশিক্ষণ থাকা আপনার রক্তে সুগার বাড়াচ্ছে

খিদে না পেলে মুখে কিছু তুলছেন না? ভাবছেন খিদে নেই, খাব কেন? ভুল করছেন। খালিপেটে বেশিক্ষণ আপনার রক্তে সুগার বাড়াচ্ছে। দিনে ৪বার খাবার মাস্ট। ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে খেতে না পারলে শরীরের দফারফা। ডায়াবেটিস, ওবেসিটি জাঁকিয়ে বসবে শরীরে।

Updated By: Jun 12, 2017, 07:16 PM IST
খালিপেটে বেশিক্ষণ থাকা আপনার রক্তে সুগার বাড়াচ্ছে

ওয়েব ডেস্ক: খিদে না পেলে মুখে কিছু তুলছেন না? ভাবছেন খিদে নেই, খাব কেন? ভুল করছেন। খালিপেটে বেশিক্ষণ আপনার রক্তে সুগার বাড়াচ্ছে। দিনে ৪বার খাবার মাস্ট। ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে খেতে না পারলে শরীরের দফারফা। ডায়াবেটিস, ওবেসিটি জাঁকিয়ে বসবে শরীরে।

ঠিক এভাবেই ছুটছে আধুনিক জীবন। ট্রাম, বাস, রাস্তা। ছুটছে মানুষ। নাওয়া খাওয়ার সময় নেই। কাজের ব্যস্ততায় ব্রেকফাস্ট আউট। অফিসেও সিচুয়েশন এক্কেবারে সেম। সময়ে খাওয়া নেই। বাকি সব আছে।

ব্রেকফাস্ট তো বাদই। সকাল ৯টায় অফিস বেরোনোর আগে নাকেমুখে কিছু একটু গুঁজে দে ছুট। অফিসে কাজের ব্যস্ততায় ডুব। বিকেলে সেই ৪টেয় হয়ত লাঞ্চ টেবিলে হাজির। 

কিংবা ঘুম থেকে উঠেই হয়ত অফিস বেরোতে হল। সকাল ৬টায়। অফিসে এটা-ওটা কাজের মাঝে খাওয়ার সময় হয়ত পাওয়া গেল সেই ১২টায়। খিদেয় তখন পেট চুঁইচুঁই।

দিনের পর দিন এই রুটিন। ব্যস। শরীর ততদিনে রোগের ডিপো। সময়ে না খাওয়ার খেসারত।

গবেষকরা বলছেন, খেতে দেরি করা আমাদের শরীরকে নির্দিষ্ট ঘড়ি মেনে কাজ করতে বাধা দেয়। যার ফলে ডায়াবেটিস, ট্রাইগ্লিসারিড বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা জাঁকিয়ে বসে। গবেষকরা বলছেন, ৫ ঘণ্টার বেশি ব্যবধানে খেলে শরীরের ব্লাড সুগার রিদম নষ্ট হয়ে যায়।ওষুধ না খেয়ে শুধুমাত্র ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ বা ডিনার ঠিকসময়ে খেলে হার্টের সমস্যা এবং ওবেসিটির মতো অনেক সমস্যাই কমিয়ে ফেলা যায়।

ইটিং হ্যাভিট ঠিক কেমন হওয়া উচিত? শত ব্যস্ততার মাঝেও ঠিক সময়ে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ বা ডিনার না করলে শরীর দফারফা।

ঘুম থেকে ওঠার ৩০ মিনিটের মধ্যেই সারতে হবে ব্রেকফাস্ট। আদর্শ সময় সকাল ৭টা। বেলা ১০টার পর ব্রেকফাস্ট একদম নয়।

দুপুর ১২টায় লাঞ্চ। ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চের মধ্যে ব্যবধান হওয়া উচিত ৫ ঘণ্টা। বিকেল ৪টের পর লাঞ্চ খেলেই বিপদ।

বিকেলে টিফিন মাস্ট। ৫টার মধ্যে অল্প কিছু খেয়ে নিতেই হবে। চা-বিস্কুট হোক বা মুড়ি। চলতে পারে সবই।

রাতের খাবারের আদর্শ সময় ১০টা। সহজপাচ্য শাক-সবজি খাওয়াই ভাল। হজমে সাহায্য করবে। ডিনার করেই ঘুম নয়। ঘুম ও ডিনারের মাঝে অন্তত ২ ঘণ্টার ব্যবধান থাকা উচিত।

আমাদের শরীর ২৪ ঘণ্টার ঘড়ি মেনে কাজ করে। যে ঘড়িকে নিয়ন্ত্রণ করে মাস্টার ক্লক বা আমাদের মস্তিষ্ক। আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে রয়েছে পেরিফেরাল ক্লক। যা একসঙ্গে কাজ করে। খাওয়া-দাওয়া, ঘুম, স্নান করা, কাজ করার সঙ্গে তাল রেখেই চলে শরীরে ঘড়িগুলো। যে কারণে অফিসে শিফটে কাজ করলে বা জেট ল্যাগ হলে দিন-রাতের হিসেবের গন্ডগোলের কারণে শরীরের কার্যকারিতা ব্যাহত হয়।

প্রথম বাংলা ছবির গেম লঞ্চ হচ্ছে ‘বস ২’ ছবির হাত ধরে!

আবার আসছে বাহুবলী!

.