কিস ডে: জেনে নিন চুম্বনের ৮ আশ্চর্য উপকারিতা!

ব্রিটেনের ‘নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড কগনিটিভ সায়েন্স’-এর বিজ্ঞানীদের দাবি, চুম্বন বা চুমু উচ্চ রক্তচাপ, অবসাদের মতো একাধিক সমস্যার সমাধান করতে পারে নিমেষে।

Edited By: সুদীপ দে | Updated By: Feb 13, 2020, 01:04 PM IST
কিস ডে: জেনে নিন চুম্বনের ৮ আশ্চর্য উপকারিতা!

নিজস্ব প্রতিবেদন: চুম্বন বা চুমু আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী— এ কথা অনেক আগেই দাবি করেছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা। ব্রিটেনের ‘নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড কগনিটিভ সায়েন্স’-এর বিজ্ঞানীদের দাবি, চুম্বন বা চুমু উচ্চ রক্তচাপ, অবসাদের মতো একাধিক সমস্যার সমাধান করতে পারে নিমেষে। ব্রিটেনের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Bath) বিজ্ঞানীদের মতে, চুম্বনের ফলে শরীরে এন্ডরফিন তৈরি হয় যা ‘মেইনস্ট্রুয়াল পেইন’ কমাতে সাহায্য করে। আসুন জেনে নেওয়া যাক স্বাস্থ্যের পক্ষে চুম্বন বা চুমুর আশ্চর্য উপকারিতা...

১) ব্রিটেনের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের মতে, চুম্বন বা চুমু আমাদের হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।

২) বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ রক্তচাপ, অবসাদের মতো একাধিক সমস্যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে চুম্বন।

৩) ব্রিটেনের ‘নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড কগনিটিভ সায়েন্স’-এর বিজ্ঞানীদের দাবি, চুমু খেলে মস্তিষ্কে এন্ডরফিন নামের এক রকম হরমোনের ক্ষরণ হতে থাকে যা শরীরের ব্যথা-বেদনা কমাতে সাহায্য করে। চুমু খেলে মাইগ্রেনের মতো মারাত্মক যন্ত্রণাও সহযেই কমে যেতে পারে।

৪) চুম্বনের সময় মস্তিষ্কে ডোপামিন আর সেরোটোনিন হরমোনের ক্ষরণ হতে থাকে যা অবসাদ, দুশ্চিন্তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে।

৫) বিশেষজ্ঞদের মতে, চুম্বনের সময় আইজিই অ্যান্টিবডি হ্রাস পায়। শুধু তাই নয়, হিস্টারিন হরমোনের ক্ষরণও কমে যায়। ফলে অ্যালার্জির প্রকপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

৬) একটি সমীক্ষার পর মার্কিন বিজ্ঞানীরা দাবি করেন, যাঁরা নিয়মিত অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে চুমু খান, তাঁদের প্রতি মিনিটে প্রায় ২ থেকে ৩ কিলোগ্রাম ক্যালোরি বার্ন হয়।

আরও পড়ুন:চিনে নিন প্রাণঘাতী লিভার সিরোসিসের প্রাথমিক লক্ষণগুলি

৭) চুম্বনের সময় মুখের ৩৪টি পেশি এবং ১১২টি পসট্রুয়াল পেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে ফেসিয়াল পালসি, মাসকুলার ডিসটোনিয়ার মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে।

৮) মুখ গহ্বরের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও চুম্বন অত্যন্ত কার্যকরী! চুম্বনের সময় মুখের ভিতর প্রচুর পরিমাণে লালা নিঃসরণ হয়। একই সঙ্গে মুখের ভিতর নানা রকম উৎসেচক ক্ষরিত হয়।

.