ক্যান্সারের চিকিৎসায় কার্যকরী ওষুধ বানাল অ্যাস্ট্রা জেনিকা! প্রয়োগে ছাড়পত্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের
অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা প্রতিষেধকের উৎপাদনের জন্য বিশ্বজুড়ে চর্চায় রয়েছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’র (AstraZeneca) নাম।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ইদানীং অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা প্রতিষেধকের (ChAdOx1 nCoV-19) উৎপাদনের জন্য বিশ্বজুড়ে চর্চায় রয়েছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’র (AstraZeneca) নাম। ইতিমধ্যেই এই প্রতিষেধকের উৎপাদনের কাজ শুরু করে দিয়েছে এই সংস্থা। প্রতিষেধকটির শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। সব মিলিয়ে চলতি বছরের শেষেই অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা প্রতিষেধকটি বাজারে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এরই মধ্যে এই ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থার তৈরি ক্যান্সারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কার্যকরী ওষুধ ছাড়পত্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’র (AstraZeneca) তৈরি ক্যান্সার চিকিৎসার ওষুধ Lynparza-র ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছিল। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এই ওষুধটি অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের (pancreatic cancer) চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে আশাতীত ফল মেলার পর অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের চিকিৎসায় প্রয়োগের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনুমোদন পেল ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’র (AstraZeneca) তৈরি ওষুধ Lynparza।
আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যুর হার কমাচ্ছে যক্ষার প্রতিষেধক! গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর প্রমাণ
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় এই অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে (pancreatic cancer)। প্রতি বছর লক্ষাধিক মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হন এই ক্যান্সারে। মৃত্যুর হারের বিচারে বিভিন্ন ধরনের প্রাণঘাতী ক্যান্সারের মধ্যে সাত নম্বরে রয়েছে অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে ক্যান্সারের চিকিৎসায় যথেষ্ট অগ্রগতি হওয়া সত্ত্বেও অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তির ৫ বছরের বেশি বেঁচে থাকার নজির মাত্র ৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’র (AstraZeneca) তৈরি ওষুধ Lynparza ভরসা যোগাচ্ছে চিকিৎসক থেকে রোগীদের।