ঘরের মাঠে নতুন সূর্যোদয় সানরাইজার্সের
শেষ ওভারের ডেল স্টেইন যেভাবে পুণেকে গুলিবদ্ধ করল, এ থেকে পরিস্কার নতুন মোড়কে সানরাইজার্স অনেক দূর এগোবে। সাঙ্গাকারার ঝুলিতে রান সংখ্যা মাত্র ১২৬ কিন্তু লড়াইয়ের মাঠে উদ্যমের কোনও খামতি দেখা যায়নি। মাত্র ১০৪ রানে পুণেকে বধ করে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠে এল সানরাইজার্স।
সানরাইজার্স- ১২৬/৬ (২০)
পুণে ওয়ারিয়রস- ১০৪/১০(১৮.৫)
২২ রানে জয়ী সানরাইজার্স
ম্যাচের সেরা- অমিত মিশ্র (১৯/৩)
শেষ ওভারের ডেল স্টেইন যেভাবে পুণেকে গুলিবদ্ধ করল, এ থেকে পরিস্কার নতুন মোড়কে সানরাইজার্স অনেক দূর এগোবে। সাঙ্গাকারার ঝুলিতে রান সংখ্যা মাত্র ১২৬ কিন্তু লড়াইয়ের মাঠে উদ্যমের কোনও খামতি দেখা যায়নি। মাত্র ১০৪ রানে পুণেকে বধ করে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠে এল সানরাইজার্স।
প্রথমে পুণে টসে জিতে সানরাইজার্সকে ব্যাট করতে পাঠায়। অশোক দিন্দার দুর্দান্ত বল করেন। পার্থিব প্যাটেলকে ১৯ রানে বোল্ড করে প্রথম ভাঙন ঘটান দিন্দাই। তারপর একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে। টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট ক্যামারুন হোয়াইট মাত্র ১০ রান করেন। কোনও চার, ছয় তাঁর ঝুলিতে ছিল না। একমাত্র থিসারা পেরারা সর্বাধিক ৩০ রান করেন।
অন্যদিকে পুণে ওয়ারিয়রসের আরও করুণ অবস্থা হয়ে দাঁড়ায়। মাত্র ১২৭ রানের তাড়া করতে গিয়ে শুরুটা বেশ ভালো ছিল পুণের। উথাপ্পা ও পান্ডে দু`জনে মিলে রানের গতি ঠিকঠাক থাকলেও ২৪ রানে উথাপ্পা আউট হলে নাটকীয় মোড় নিতে শুরু করে। মাত্র ৮ রানে তিনটি উইকেট হারায়। অনাথ শিশুর মতো যখন পুণের অবস্থা, উপ্পলের স্টেডিয়ামে দর্শকদের প্রত্যাশা ছিল যুবরাজ তাঁর সঠিক দায়িত্ব নেবে। কিন্তু অমিত মিশ্রর লেগ স্ট্যাম্পে পড়া সোজা বলকে খেলতে গিয়ে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে পিচ ছেড়ে দেবে, সেটা খুবই অপ্রত্যাশিত ছিল। মাত্র ২ রানে স্ট্যাম্প আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ক্যামব্যাক যুবরাজ। আর একটি খেলোয়াড়ের কথা না বললেই নয়। নাম বেশি, দাম বেশি কিন্তু মাঠে এমন চিফ ব্যাটিং অন্তত টি-টোয়েন্টি ফরমাটের যোগ্য নয়। তিনি রস টেলর। এই কিউই ব্যাটসম্যানের আন্তজার্তিক কেরিয়ারে রান সংখ্যা প্রচুর থাকলেও আইপিএলে সম্পূর্ন ব্যর্থ। টিম বদল হলেও তাঁর পারফর্মেন্স একই থেকে গেছে। পঁয়ত্রিশ মিনিট ব্যাট করে একটি চারও তিনি মারতে পারেননি। ১৯ বলে ১৯ রান করে সিদেসাপটা আউট হয়ে প্যাভিলিয়েনে ফিরে যান। ম্যাথিজের ম্যাচের হাল ফেরানোর চেষ্টা করলেও ডেল স্টেইন একধার থেকে কবর খুঁড়তে শুরু করে। আর ক্রিজের অন্যপ্রান্তে দাঁড়িয়ে একাকী অধিনায়ক দেখছেন চারমিনারের পিছন থেকে নতুন সূর্যোদয়।