সারদা কাণ্ড: ষড়যন্ত্রকারী কুণাল, দাবি সিবিআই চার্জশিটের
সারদা কাণ্ডে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন কুণাল ঘোষ। নিজেকে নির্দোষ বলেও দাবি করেছেন তিনি। কিন্তু, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তাদের চার্জশিটে তৃণমূলের সাসপেন্ডেড সাংসদকে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবেই অভিযুক্ত করল।
ব্যুরো: সারদা কাণ্ডে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন কুণাল ঘোষ। নিজেকে নির্দোষ বলেও দাবি করেছেন তিনি। কিন্তু, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তাদের চার্জশিটে তৃণমূলের সাসপেন্ডেড সাংসদকে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবেই অভিযুক্ত করল।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, সারদা কর্তার প্রতারণা ব্যবসা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন কুণাল ঘোষ। সারদার অর্থে তিনি লাভবানও হয়েছেন।
সুদীপ্ত সেনের একজন বেতনভুক কর্মচারী ছিলেন তিনি। সারদার তহবিল বা ব্যবসার সঙ্গে কোনো যোগ ছিল না তাঁর। এমনই দাবি করেছিলেন সারদা মিডিয়ার CEO কুণাল ঘোষ। অথচ প্রাথমিক তদন্ত শেষে সিবিআইয়ের অভিযোগ, মালিক-কর্মচারী সম্পর্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না সুদীপ্ত সেন ও কুণাল ঘোষের সম্পর্ক।
সারদা মিডিয়ার CEO থাকাকালীন আলাদা কোম্পানি খোলেন কুণাল ঘোষ। মেসার্স স্ট্র্যাটেজি প্লাস কমিউনিকেশন প্রাইভেট লিমিটেড তৈরি হয় ২০১০ সালের ২৪ অগাস্ট। ঠিক তার ছদিন পর অর্থাৎ ২০১০-এর পয়লা সেপ্টেম্বর সারদা গোষ্ঠীতে যোগ দেন কুণাল ঘোষ। ২০১১ সালে সাহিত্য সম্মান অনুষ্ঠানে বিজ্ঞাপন বাবদ ৪ লক্ষ টাকা সারদা ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল থেকে পায় কুণাল ঘোষের কোম্পানি।
এছাড়াও আরও ৭১ লক্ষ টাকা সারদা গোষ্ঠীর বিভিন্ন কোম্পানি থেকে পেয়েছে কুণালের সংস্থা। সারদা মিডিয়ার কর্ণধার হওয়া সত্ত্বেও সারদার দুটি কোম্পানির মিডিয়া পরামর্শদাতা হিসাবে আলাদা টাকা নিত কুণালের সংস্থা।
তদন্তকারীদের দাবি, ২০১৩ সালে কুণাল ঘোষ সারদা কর্তাকে ৫০ লক্ষ টাকা সাহায্য করেছিলেন।
সিবিআইয়ের দাবি, এই সবকিছুই প্রমাণ করে যে সারদা গোষ্ঠীতে নিছক বেতনভুক কর্মী ছিলেন না কুণাল ঘোষ। চার্জশিটে তদন্তকারীদের দাবি, ২০১০ সালের শেষ থেকেই সারদার ব্যবসা নিয়ে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। তখন থেকেই বিভিন্ন তদন্ত শুরু হয়। এসবই জানতেন কুণাল ঘোষ। তারপরও তিনি সারদার সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছেন এবং সারদার অর্থে লাভবান হয়েছেন।