বাজেট পেশ করলেন অমিত মিত্র
বেহাল আর্থিক দশা সামলাতে প্রয়োজনীয় অর্থ সংস্থানের সাংবিধানিক দায়িত্ব, বনাম দলনেত্রী-নির্দেশিত জনমোহিনী রাজনীতির দায়! এই চূড়ান্ত টানাপোড়েনের মধ্যেই আজ ২০১২-১৩ সালের রাজ্য পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
বেহাল আর্থিক দশা সামলাতে প্রয়োজনীয় অর্থ সংস্থানের সাংবিধানিক দায়িত্ব, বনাম দলনেত্রী-নির্দেশিত জনমোহিনী রাজনীতির দায়! এই চূড়ান্ত টানাপোড়েনের মধ্যেই আজ ২০১২-১৩ সালের রাজ্য বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
গত বছরের মে মাসে ক্ষমতা দখলের পর পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। কার্যত দীর্ঘদিনের প্রথা ভেঙে বেছে নেওয়া হয়েছিল `আয়-ব্যয়ের হিসেব পেশ`-এর পথ। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এটাই অমিত মিত্রর প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট। চলতি আর্থিক বছরে ২৭ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। গতবারের তুলনায় ৬ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা বেশি। কিন্তু অর্থমন্ত্রকসূত্রের খবর, এই লক্ষ্যের অনেকটাই দূরে আটকে যেতে হচ্ছে অর্থমন্ত্রীকে। ফলে আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ব্যবধান অনেকটাই বেড়ে গেছে। তাই এবারের বাজেটে রাজস্ব আদায় বাড়ানো অর্থমন্ত্রীর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
কোষাগারে টাকা নেই। রাজ্য চালাতে হিমশিম অবস্থা সরকারের। বাজার থেকে নেওয়া ঋণের ওপর অনেকটাই ভরসা করতে হচ্ছে অর্থমন্ত্রীকে। এইঅবস্থায় রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অর্থমন্ত্রীর ব্যর্থতা সংকট আরও বাড়িয়েছে। বণিক মহলের মতে তা সত্ত্বেও আগামি বাজেটে আয় বাড়াতে অর্থমন্ত্রীর পক্ষে খুব একটা কড়া পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব নয়। অন্যদিকে রাজস্ব আদায় বাড়াতে অর্থমন্ত্রী আবগারি শুল্ককেই আবার হাতিয়ার করতে চলেছেন বলে আশঙ্কা মদ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির।
তবে বণিকমহলের মতে শিল্পায়নের বিকাশ না ঘটলে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে আয় বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যয় কমানো এই দুইয়ের মধ্যে বাজেটে অর্থমন্ত্রী কীভাবে ভারসাম্য আনেন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে বিশেষজ্ঞ মহল।