শেষমেষ সম্মতি রাজ্যপালের, শঙ্খ ঘোষদের সাম্মানিক দেবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

এই তালিকা নিয়েই আপত্তি তোলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। যদিও, শেষমেশ বাকিদের মত মেনে বিষয়টি মেনে নেন রাজ্যপালও। চূড়ান্ত শিলমোহর পড়ে ওই তালিকাতেই।

Updated By: Oct 18, 2019, 07:54 PM IST
শেষমেষ সম্মতি রাজ্যপালের, শঙ্খ ঘোষদের সাম্মানিক দেবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদন: যাদবপুরের কোর্ট মিটিংকে কেন্দ্র করে ফের একবার বিতর্কে জড়ান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কাদের সাম্মানিক উপাধি দেওয়া হবে তা নিয়ে রীতিমত জটিলতা দেখা দেয় শুক্রবারের কোর্ট মিটিং-এ। যার প্রধান কারণ, প্য়ানেল মনোনীত নামে প্রথমে আচার্য ধনখড়ের 'সহমত' না হওয়া। কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় বিশিষ্ট কবি শঙ্খ ঘোষ এবং প্রাক্তন বিদেশ সচিব সলমন হায়দার, ভারতরত্ন প্রাপ্ত সিএনআর রাও এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর সঙ্ঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের দিন সম্মান দেওয়া হবে। আর এই তালিকা নিয়েই আপত্তি তোলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। যদিও, শেষমেশ বাকিদের মত মেনে বিষয়টি মেনে নেন রাজ্যপালও। চূড়ান্ত শিলমোহর পড়ে ওই তালিকাতেই।

প্রথমে সলমন হায়দারের নাম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্য়পাল। পরে উঠে আসে সঙ্ঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও। এদের কেন সম্মান দেওয়া হচ্ছে বলেই প্রশ্ন তোলেন রাজ্য়পাল। তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের সম্পর্কে আরও বিশদে জানতে চান তিনি। এরপর রাজভবনে ফাইল পাঠিয়ে দিতে বলেন তিনি। জানান, সেখানেই তিনি তার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন। আর এতেই শোরগোল শুরু হয় সভায়।

কোর্টে সদস্যরা জানিয়ে দেন তাঁরা এই প্যানেলের পক্ষেই রয়েছেন। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী এই প্যানেলের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত একমাত্র রাজ্যপালই নেবেন, সেক্ষেত্রে পরে নয়, রাজ্যপালকেও তার সিদ্ধান্ত বৈঠকেই জানিয়ে দিতে হবে। 

আরও পড়ুন: কার্নিভালে রাজ্যপালকে ট্যুরিস্ট বলা হয়েছে, রাজ্যের মন্ত্রীদের মন্তব্যে ব্যথিত ধনখড়

সূত্রের খবর, রাজ্যপাল বলেন এদের বিষয়ে আরও খোঁজখবর নেওয়া দরকরা। কেন তাঁদের সম্মান দেওয়া হবে তা নিয়ে আরও আলোচনার দরকার বলেই মন্তব্য করেন তিনি। কিন্তু নাছোড়বান্দা কোর্ট সদস্যরা বলেন ডিসেম্বরের ২৪ তারিখে সমাবর্তন। কাজেই আর দেরি করা যাবে না। তাঁদের পাল্টা যুক্তি, রাজভবনে যদি রাজ্যপালই সিদ্ধান্ত নেবেন তাহলে কোর্ট মিটিং চলাকালীন কেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারছেন না রাজ্যপাল।

এ নিয়ে চলে দীর্ঘ আলোচনা। শেষ পর্যন্ত রাজি হন রাজ্যপাল। যদিও এদিন রাজ্যপালকে রাজি করাতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় কোর্টের বাকি সদস্যদের। তবে এইবার মেনে নিলেও আগামী বছর থেকে নাম ঠিক করার আগে আরও বিশদে আলোচনা করা দরকার বলেই সাংবাদিকদের জানান রাজ্যপাল। 

.