বজবজে সিন্ডিকেট কাণ্ডে তিরষ্কার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির
পেশি শক্তি দিয়ে রাজ্য চালানো যাবে না। বজবজে সিন্ডিকেট কাণ্ডে তিরস্কার করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। অভিযোগ পেয়েও ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রশ্নে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা পুলিসের ভূমিকা নিয়েও।
ওয়েব ডেস্ক: পেশি শক্তি দিয়ে রাজ্য চালানো যাবে না। বজবজে সিন্ডিকেট কাণ্ডে তিরস্কার করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। অভিযোগ পেয়েও ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রশ্নে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা পুলিসের ভূমিকা নিয়েও।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেও সিন্ডিকেটের লালচোখ। এই ট্যাঙ্কারগুলির বজবজ বন্দর থেকে মাঝেরহাটে পৌছয় ভোজ্যতেল। সেখানে থেকে ট্রেনে নেপাল। এই পরিবহণে চোখরাঙানির অভিযোগ তুলেছে নেপালি সংস্থা শিবশক্তি ঘি উদ্যোগ ও গনপতি বনস্পতি প্রাইভেট লিমিটেড। বজবজ এডিবল অয়েল ট্যাঙ্কার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের হুমকি, তাদের ট্যাঙ্কার ছাড়া ওই পথে ভোজ্য তেল পাঠানো যাবে না।
আরও পড়ুন আবেশকে কে খুন করেছে তা এখন ওপেন সিক্রেট, কিন্তু তার শাস্তি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
মূল অভিযোগ, অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা, শাসকদলের ৩ কাউন্সিলর দীপক ঘোষ, প্রতিমা ধাড়া, ছোটেলাল শয়ের বিরুদ্ধে পুলিসকে জানিয়েও ফল না হওয়ার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় দুই নেপালি সংস্থা। শুনানিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর। বলেন, পেশিশক্তি দিয়ে রাজ্য চালানো যাবে না। পুলিস সুপার কেন ভয় পাচ্ছেন? কেন এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হল না? কেন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হল না? কোম্পানির মালিকদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে আর পুলিস বলছে আমরা জানি না! এটা চলতে পারে না। ঘটনার তদন্তে অফিসারদের একটি টিম তৈরি করে দেওয়ার কথাও জানান প্রধান বিচারপতি। তাঁর মতে, পুলিস যদি নিরাপত্তা দিতে না পারে, তাহলে তা রাজ্য, দেশের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।
প্রধান বিচারপতির ক্ষোভ, প্রশমনের চেষ্টা করে অ্যাডভোকেট জেনারেল। তিনি বলেন, FIR-এর কপি হাতে এসেছে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে ৩ কাউন্সিলর থাকলেও কাউকে রেয়াত করা হবে না। এই আশ্বাসেও সন্তুষ্ট হননি প্রধান বিচারপতি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আদালতে আসতে হল কেন? নিরাপদে যাতে ভোজ্য তেল নেপালে পৌছয়, তার ব্যবস্থা করতেই হবে।
আরও পড়ুন সংগঠনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানের আগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে কড়া বার্তা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের
এদিকে, অভিযুক্তদের আইনজীবী যুক্তি দেন, গোটা মামলায় কোথাও কাউন্সিলরদের নাম নেই। শুধুমাত্র FIR করা হয়েছে। সিন্ডিকেটের কোনও বিষয় এখানে ওঠেনি। মামলা খারিজ করা হোক। সুবিচার পেতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও ইমেলে অভিযোগ জানিয়েছে নেপালের দুই সংস্থা।