দিলীপ কি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী? তাঁর নেতৃত্বে মেডিক্যাল কলেজ, চিঠি দিল কেন্দ্র

জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজে রূপান্তরিত করা হচ্ছে, এই মর্মে দিলীপ ঘোষের কাছে চিঠি দেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। 

Reported By: অঞ্জন রায় | Updated By: Jan 24, 2020, 10:35 PM IST
দিলীপ কি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী? তাঁর নেতৃত্বে মেডিক্যাল কলেজ, চিঠি দিল কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: জেলা হাসপাতাল বদলে গেল মেডিক্যাল কলেজে। অথচ জানেই না রাজ্য সরকার। অন্তত তেমনটাই দাবি নবান্নের। বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষকে চিঠি দিয়ে 'সুখবর' দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। প্রত্যাশিতভাবে নবান্নের প্রশ্ন, রাজ্যকে এড়িয়ে একটা দলের সভাপতিকে কীভাবে চিঠি দিল কেন্দ্র? দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, রাজ্যকে হয়তো চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু ওরা সব ব্যাপারেই কেন্দ্রের বিরোধিতা করে। 

জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজে রূপান্তরিত করা হচ্ছে, এই মর্মে দিলীপ ঘোষের কাছে চিঠি দেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন,''প্রিয় দিলীপ ঘোষ জি, আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজে উন্নীত করার অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার। আমার আশা, আপনার পারদর্শী নেতৃত্বে ওই অঞ্চলের মানুষকে উপযুক্ত  চিকিত্সা পরিষেবা দিতে পারবে  এই কলেজ। স্বাস্থ্যকর ও উন্নত ভারত গড়ার পথও নিশ্চিত করবে। মেডিক্যাল কলেজের প্রাথমিক কাজে আপনার সহযোগিতা পাওয়ার আশা করছি।'' 

গত ২৩ জানুয়ারি দিলীপ ঘোষকে পাঠানো হর্ষবর্ধনের ওই চিঠি নিয়ে জলঘোলা হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। নবান্নের দাবি, তাদের ওই চিঠি পাঠানো হয়নি। অথচ এটা আগে রাজ্য সরকারকে জানানোর কথা। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জি ২৪ ঘণ্টাকে ফোনে জানান, এব্যাপারে অন্ধকারে রাখা হয়েছে রাজ্য সরকারকে। কোনও চিঠি দেয়নি স্বাস্থ্যমন্ত্রক। চন্দ্রিমা আরও বলেন, ''জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজে উন্নীত করতে দীর্ঘদিন আগেই প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু রাজ্যকেই কিছু জানানো হল না।''

তৃণমূলের অভিযোগকে আমল দেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়''জলপাইগুড়ির সাংসদ বিজেপির। তিনিই তদ্বির করেছিলেন। সে কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার মঞ্জুর করেছে। নবান্নে হয়তো চিঠি এসে পড়ে আছে। সব ব্যাপারে রাজ্য সরকার তো কেন্দ্রকে এড়িয়ে চলে।''

আরও পড়ুন- মোদীর সঙ্গে আড্ডা মেরে এসেছেন মমতা, প্রধানমন্ত্রীকেও ছাড়ছেন না দিলীপ!

.