বাংলার শিক্ষাক্ষেত্রে বর্তমান অবস্থা অভূতপূর্ব! রাজ্যকে তীব্র কটাক্ষ রাজ্যপালের
তিনি বলেন, “উপাচার্যদের নিয়োগপত্র বাতিল করার ক্ষমতা রয়েছে রাজ্যপালের। রাজ্য সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।”
নিজস্ব প্রতিবেদন: আচার্যের ডাকা ভার্চুয়াল বৈঠকে উপাচার্যদের গরহাজিরা নিয়ে তরজা তুঙ্গে। শিক্ষাব্যবস্থাকে রাজনৈতিক খাঁচাবন্দি করলে ফল হবে ভয়াবহ, ট্যুইটে হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যপাল।
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ে যে নিয়ম দেখিয়ে রাজ্য সরকার রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছিলেন, তার বৈধতা নিয়েই এবার প্রশ্ন করলেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, “উপাচার্যদের নিয়োগপত্র বাতিল করার ক্ষমতা রয়েছে রাজ্যপালের। রাজ্য সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।”
তিনি বলেন, ‘রাজ্যে শিক্ষায় উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। যাঁরা কলেজে ভর্তি হয়েছেন, তাদের আর্থিক শোষণ করা হয়েছে। গত ২ বছর ধরে এই পরিস্থিতি চলছে।’ রাজ্যপালের দাবি, ‘উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকের কথা বললেও শোনেনি রাজ্য। তাঁর মতে দেশের কোনও রাজ্যে এমন পরিস্থিতি নয়।
উল্লেখ্য, মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলপ্রকাশের দিন সকাল ১১টায় রাজ্য সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের ভার্চুয়াল বৈঠকে ডাকেন রাজ্যপাল। কিন্তু সেই বৈঠকে হাজির হননি উপাচার্যরা। আর এই নিয়ে ফের একবার রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালেন রাজ্যপাল। পাল্টা চিঠি দেন মুথ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠিতে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, উপাচার্যরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলি স্বাধীন ভাবে কাজ করে। শিক্ষা দফতরের তত্ত্ববধানে গোটা পরিকাঠামো পরিচালিত হয়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, উচ্চ শিক্ষা দফতর এবং সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন: লকডাউনের মধ্যেই রাজ্যে ৭ দিনে ২০০-র ওপর বেড়ে গেল কনটেইনমেন্ট জোন, মোট ৬৪১
মুখ্যমন্ত্রীর এই চিঠির পরই টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থেই উপাচার্যদের বৈঠকে যোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করেন রাজ্যপাল। ‘রাজনৈতিক খাঁচায়’ শিক্ষা বন্দি হলে ধ্বংসাত্মক এবং আত্মঘাতী হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। উপাচার্যদের পক্ষপাতমূলক আচরণ থেকে বিরত থাকা উচিত বলেও ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যপাল। যাতে রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যায়, তাতে উপাচার্যদেরই সদর্থক ভূমিকা নেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
রাজ্যপালের টুইটে মুখ্যমন্ত্রীর যে বক্তব্যকে উদ্ধৃত করা হয়েছে তা হল, "আচার্যের ডাকা ভার্চুয়াল বৈঠকে উপাচার্যরা যোগ না দিলে দেশে ভুল বার্তা যাবে।" পরের টুইটে সুর হয় আরও জোরালো। তিনি লেখেন, "উপাচার্যদের কাছে আইন কি কারোর অঙ্গুলিহেলন?" এরপরই সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলার কথা বলেন তিনি।