কলকাতায় কাঁপনের কমন প্রশ্ন- 'কী রে ভূমিকম্প হল বুঝতে পারলি!'
মঙ্গলবার বৈশাখের কাঠফাটা রোদে কাঁপল কলকাতাও। মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল। চার দেওয়ালের কুঠুরি ছেড়ে দিনের ব্যস্ত সময়ে তড়িঘরি পথে নামল অফিসপাড়া। প্রাণভয়ে। রাজপথে তিল ধারনের জায়গা নেই। থেমে গেল মেট্রো। যানজটে থামল বাস-ট্রাম।
ওয়েব ডেস্ক: মঙ্গলবার বৈশাখের কাঠফাটা রোদে কাঁপল কলকাতাও। মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল। চার দেওয়ালের কুঠুরি ছেড়ে দিনের ব্যস্ত সময়ে তড়িঘরি পথে নামল অফিসপাড়া। প্রাণভয়ে। রাজপথে তিল ধারনের জায়গা নেই। থেমে গেল মেট্রো। যানজটে থামল বাস-ট্রাম।
গত ২৫, ২৮ এপ্রিলের পর ১২ মে। এক মাসে তিন তিন বার। এত ঘন ঘন ভূমিকম্পের সাক্ষী মহানগর এর আগে হয়েছে কিনা বলা মুশকিল। তবে আগের দুবার থেকে শিক্ষা নিয়ে শহরবাসী যেন এবার অনেকটাই অভ্যস্ত। কম্পনে শঙ্কিত ঠিকই। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেননি মোটেই।
কারও মনে হচ্ছে তীব্রতা আগের থেকে কম। কারও বা মত অন্যরকম। তাড়হুড়ো পড়ে যায় নবান্নেও। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে খোলা আকাশের নীচে নেমে আসেন মন্ত্রীরাও।
কম্পনে প্রায় ঘণ্টাখানেক বন্ধ ছিল মেট্রো পরিষেবা। আতঙ্কিত মানুষ বহুতল ছেড়ে রাস্তায় জড়ো হওয়ায় যানজট হয়।
কম্পনের ছবি ধরা পড়ে চব্বিশ ঘণ্টার সরাসরি সম্প্রচারেও। পায়ের তলার মাটি কাঁপলেও চলে সংবাদ সম্প্রচার। কম্পনের তীব্রতা বেশি ছিল। তাই আফটারশক চলবে। জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে কলকাতায় আতঙ্কের তেমন কারণ নেই বলেই জানানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রসচিব জানিয়েছেন ভূমিকম্পে এ রাজ্যে মৃত্যুর খবর নেই। খোঁজখবর দিতে নবান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। কন্ট্রোলরুমের নম্বর 1070 এবং 22143526। এছাড়া কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে প্রতিটি জেলাতেও।