Private Hospital: চক্রব্যূহ! বিল দিতে অপারগ রোগী, ঋণের ব্যবস্থা হল হাসপাতালেই হাজির বেসরকারি সংস্থা থেকে
Private Hospital: ওই রোগী ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকেন ১৬-২৪ জুলাই। গোলমাল বাধে ছুটির সময়ে। হাসপাতালের তরফে বিল ধরানো হয় ২ লাখ ১৩ হাজার টাকার। পাশাপাশি রোগীকে ছুটি করিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যা চাপ দিতে থাকে হাসপাতাল
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: বেসরকারি হাসপাতালে বিপুল টাকা বিল মেটাতে না পেরে হামেসাই বিপাকে পড়ে রোগীর পরিবার। বিল না মেটানোয় রোগীর আত্মীয় ও হাসপাতালের মধ্যে টানা পোড়েন এমনকি থানা পুলিস হওয়ার কথাও শোনা গিয়েছে। এবার অন্য গল্প। বিল মেটাতে অপারগ রোগীর পরিবার। সমস্যা সমাধানে হাসপাতালেই হাজির বেসরকারি ঋণ প্রদান সংস্থার এজেন্ট। হাসপাতালে বসেই হয়ে গেল ঋণের ব্যবস্থা। শুধু তাই নয়, রোগীর পরিবারকে হাসপাতালের বিল মেটানোর চাপ দিতে রাত দেড়টায় রোগীর বাড়িতে হাজির পুলিস। শহরের এক নামজাদা বেসরকারি হাসপাতালের এমনই মারাত্মক অভিযোগ জমা পড়ল স্বাস্থ্য কমিশনে।
আরও পড়ুন-'রাজ্যপাল একটার জায়গায় দশটা কালো চশমা পরুন.....'
কী হয়েছে আসলে? অভিযোগকারিনী তাঁর বয়স্ক বাবার হার্টের চিকিত্সার জন্য ভর্তি করাতে যান ওই নামী বেসরকারী হাসপাতালে। ওই মহিলার দাবি, সামর্থ নেই তাই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় ভর্তি নিতে অনুরোধ করা হয়। হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে অস্বীকার করে। পরে জানানো হয় রোগী ভর্তির জন্য সরকারের অ্যাপ্রুভাল নিতে হবে। তাই পরে রোগীর পরিবারের কাছ থেকে কার্ড চেয়ে নেবেন তারা। কিন্তু সেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আর চাওয়া হয় না। ফলে ৬০ হাজার টাকা অগ্রিম জমা দিয়ে রোগীকে ভর্তি করতে হয়।
ওই রোগী ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকেন ১৬-২৪ জুলাই। গোলমাল বাধে ছুটির সময়ে। হাসপাতালের তরফে বিল ধরানো হয় ২ লাখ ১৩ হাজার টাকার। পাশাপাশি রোগীকে ছুটি করিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যা চাপ দিতে থাকে হাসপাতাল। বিলের টাকা যে মেটাতে তারা অপারগ তা হাসপাতালকে জানিয়ে দেন রোগীর আত্মীয়রা। তারপরেই হাসপাতালের ঋণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। হাসপাতালের মধ্যে কারবার চালানো এক বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বিল মেটাতে বাধ্য হয় রোগীর পরিবার। এমনটাই অভিযোগ জমা পড়েছে স্বাস্থ্য কমিশনে।
এদিকে, যন্ত্রণার এখানেই শেষ নয়। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, যে থানার অধীনে ওই হাসপাতালে সেই থানা থেকে রাত দেড়টার সময়ে তাদের বাড়িতে যায় পুলিস। রোগীর প্রিয়জনদের তারা ডেকে তোলেন। কার্যত হুমকির সুরে তারা জিজ্ঞাসা করেন রোগীকে কেন বাড়ি নিয়ে আসছেন না? পুলিসের কথা শুনে আকাশ থেকে পড়েন রোগীর পরিবারের লোকজন। কারণ ইতিমধ্যেই তারা রোগীকে ঘরে নিয়ে এসেছেন। তাতেও থামেনি পুলিস। বলা হয় পরদিন সব কাগজ নিয়ে হাসপাতালে যেতে। রোগীর পরিবার সব কাগজ নিয়ে গিয়ে দেথানোর পর রেহাই মেলে।
গোটা ঘটনা শুনে তাজ্জব হয়ে যায় কমিশন। প্রশ্ন তোলা হয় কীভাবে একটি ঋণ প্রদানকারী সংস্থা হাসপাতালের মধ্যে ব্যবসা চালাচ্ছে? কেনই বা পুলিস রোগী বাড়িতে গেল? বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য কমিশনের সব সদস্যদের একটি বৈঠক রয়েছে। সেখানেই ওই কেসটি নিয়ে আলোচন হবে। তারপর রায় জানাবে কমিশন। শুধু ওই হাসপাতাল নয়, একাধিক হাসপাতালে এরকম ব্যবসা চলছে জানতে পেরে ক্ষুব্ধ কমিশন। অবিলম্বে ওই ব্যবসা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।