Gariahat Murder: জোড়া খুনের ৮ দিন পরেও বেপাত্তা ভিকি ও তার সঙ্গী, খোঁজে তদন্তকারীরা
ভিকির সেই সঙ্গীর নাম, ঠিকানার এখনও খোঁজ মেলেনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গড়িয়াহাট জোড়া খুনের (Gariahat Murder) ৮ দিন পরও অধরা ভিকি। বেপাত্তা ভিকির এক সঙ্গীও। ভিকির সেই সঙ্গীর নাম, ঠিকানার এখনও খোঁজ মেলেনি।
যাকে ভিকি সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিল কে সেই সঙ্গী? জেরায় দাবি বাপি এবং জাহির দাবি করেছে, গোটা অপরাধে ভিকির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল ওই সঙ্গী। বাবাকে খুনের চেষ্টার অপরাধে বেশ কিছুটা সময় জেলে ছিল ভিকি। সেই সূত্রেই কি ওই সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগ? সম্ভবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। তাঁদের ধারনা, অপরাধের পরিকল্পনা অন্তত মাস দু‘য়েক আগেই শুরু হয়েছিল। যদিও ধৃত মিঠু পুলিশের কাছে দাবি করেছে,ঘটনার আগের দিন ছেলে তাকে পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল।
পরনে সব সময় হাল্কা রঙের ফরমাল শার্ট। ডার্ক কালার ট্রাউজার। পালিশ করা জুতো। হাতে ঘড়ি। চুল পেতে আঁচড়ানো। মুখে চোস্ত হিন্দি, ইংরেজি, বাংলা। এমনকি, পাড়া প্রতিবেশী থেকে আত্মীয়পরিজনদের সঙ্গেও হিন্দি বা ইংরেজিতেই কথা। ঠিক যেন কোনও কর্পোরেট অফিসের কর্মী। সেই সঙ্গে যে কোনও লোককে 'ইমপ্রেস' করার তুখোড় ক্ষমতা। হঠাৎ দেখলে বোঝার উপায় নেই যে ২৫-২৬ বছরের ভিকি হালদার আদতে টেনেটুনে মাধ্যমিকের গণ্ডি পাস করা। শিক্ষাগত যোগ্যতা বলতে সেটুকুই। কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকি খুনে মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদারের এহেন হাবভাবের পরিচয় পেয়ে স্বভাবতই অবাক তদন্তকারী অফিসাররা।
আরও পড়ুন: RG Kar: 'আন্দোলন প্রত্যাহার করুন', বিচারপতিদের অনুরোধেও সাড়া দিলেন না জুনিয়র ডাক্তাররা
আরও পড়ুন: ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রাজ্যপাল Jagdeep Dhankhar, ভর্তি দিল্লি এইমসে
তবে ছোটো থেকেই অসম্ভব উচ্চাকাঙ্ক্ষী ভিকি। তদন্তকারীদের ভাষায়, ভিকি অত্যন্ত রুক্ষ স্বভাবের ও দিবাস্বপ্ন দেখে থাকে। নিজের স্বপ্ন বা উচ্চাকাঙ্খা পূরণ করতে সে যে কোনও কিছু করতেই পিছপা হবে না বা যে কোনও কিছু সে ঘটাতে পারে, তা তার করা পরপর অপরাধ থেকেই স্পষ্ট।
জানা যাচ্ছে, ভিকির উচ্চাকাঙ্ক্ষার পিছনে রয়েছে তার পারিবারিক অভাব অনটন ও অশান্তি। ছোটো থেকে টানাটানির মধ্যে দিন কেটেছে ভিকির। বাবা সুভাস হালদার মা মিঠুকে সন্দেহ করতেন। সেই নিয়ে অশান্তি হত। তাই বহু বছর আগেই দুই ছেলেকে নিয়ে আলাদা হয়ে যান মিঠু। কিন্তু সংসার চালাতে না পারায় ছোটো ছেলেকে বাপের বাড়ির দিয়ে দেন মিঠু। লোকের বাড়ি বাড়ি কাজ করে, বাড়ি বাড়ি জিনিস বিক্রি করে কোনওরকমে সংসার চালাতেন মিঠু। ওদিকে কোনওরকমে মাধ্যমিক পাস করে ভিকি। মাধ্যমিক পাসের পর কলকাতায় ছোটোখাটো কাজ শুরু