মোবাইল টাওয়ারের বিকিরণে অসুস্থ বহুতলের বাসিন্দা
মোবাইল টাওয়ার থেকে ক্ষতিকারক বিকিরণের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বহুতলের বাসিন্দারা। এবিষয়ে এবার নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনও। সমস্যায় জর্জরিত পার্কস্ট্রিটের কারনানি ম্যানসনের আবাসিকরা বৃহস্পতিবার কমিশনের দ্বারস্থ হন। সেই খবর সম্প্রচারিত হয় ২৪ ঘণ্টাতেও। এরপর শুক্রবার পরিদর্শনের পর আবাসিকদের অভিযোগ কার্যত মেনে নেয় কমিশনের প্রতিনিধিদলও। পার্কস্ট্রিটের কারনানি ম্যানসন। গত দুবছর ধরে মধ্য কলকাতার এই বহুতলের বাসিন্দারা ভুগছেন নানাবিধ শারীরিক সমস্যায়।
আদতে ওই বহুতলটিতে রয়েছে ৪৪টি মোবাইল টাওয়ার। সেই অ্যান্টেনা থেকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে নির্গত হচ্ছে ক্ষতিকারক রশ্মি। যার জন্য অসুস্থ হয়ে পড়ছেন আবাসিকরা।
আবাসিকদের অভিযোগ বারবার প্রশাসনকে জানানো সত্ত্বেও সুরাহা হয়নি সমস্যার। এরপরেই বৃহস্পতিবার রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হন আবাসিকরা। অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানও। সেই নির্দেশ মেনে শুক্রবার কারনানি ম্যনসনে যান রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের একটি প্রতিনিধিদল। মোবাইল টাওয়ারগুলো খতিয়ে দেখে, অভিযোগের সত্যতা মেনে নিয়েছেন তদন্তকারী দলের সদস্যরাও।
তবে শুধুই কারনানি ম্যানসন নয়। যত্রতত্র বহুতলের ওপর মোবাইল টাওয়ার বসানোয় শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন অবাসিকরা। টাওয়ারের অ্যান্টেনা থেকে ছড়িয়ে পড়া ক্ষতিকারক তরঙ্গের জেরে মানবশরীরে তৈরি হচ্ছে নানাবিধ সমস্যা। এমনটাই মত বিজ্ঞানীদের। এবিষয়ে আগেই সোচ্চার হয়েছেন বহু সমাজকর্মী বা মানবাধিকার সংগঠন। অভিযোগ, এতো কিছু সত্ত্বেও এবিষয়ে কোনও হেলদোল নেই প্রশাসনের। এবার কারনানি ম্যানসনের ঘটনায় রাজ্য মানবাধিকারের হস্তক্ষেপে কি অবশেষে টনক নড়বে রাজ্য সরকারের? সেটাই এখন দেখার।