Panchayat Election 2023: ভোটের লড়াইয়ে থাকছেন না ভাঙড়ের ৮২ ISF প্রার্থী, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ
আপাতত ভোটের লড়াইয়ে থাকছে না ভাঙড়ের ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে জানাল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, এখনই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না আইএসএফের ওই প্রার্থীরা। সিঙ্গল বেঞ্চ মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে যে নির্দেশ দিয়েছিল আপাতত তা স্থগিত থাকবে। ১৫ দিন পরে মামলাটির আবার শুনানি হবে।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: আপাতত ভোটের লড়াইয়ে থাকছে না ভাঙড়ের ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে জানাল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, এখনই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না আইএসএফের ওই প্রার্থীরা। সিঙ্গল বেঞ্চ মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে যে নির্দেশ দিয়েছিল আপাতত তা স্থগিত থাকবে। ১৫ দিন পরে মামলাটির আবার শুনানি হবে।
আরও পড়ুন, Saayoni Ghosh: দলের প্রচার কর্মসূচিতে আজও যাচ্ছেন না সায়নী, কারণ হিসেবে জানালেন...
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নের শুরুর দিন থেকেই অশান্ত ভাঙড়। বোমাবাজি, গুলিতে প্রাণ হারায় তিনজন। মনোনয়ন নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে মনোনয়ন দিতে পারেনি অনেক প্রার্থীই। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাঙড়। এদিন সকাল থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। দফায় দফায় তৃণমূল ও আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে বিরোধ বাধে। লাঠি, বাঁশ নিয়ে একে ওপরের বিরুদ্ধে তেড়ে যেতে দেখা যায়। ব্লক অফিস চত্বরে বোমাবাজি হয়।
এরপরই হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ নির্দেশ দেয় বিরোধী প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিয়ে মনোনয়ন দেওয়াবে পুলিস। ১৫ জুন মনোনয়ন পেশের শেষ দিনে আদালতের নির্দেশে ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের ISF প্রার্থীদের এসকট করে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিস। পথে তৃণমূলি দুষ্কৃতীরা হামলা চালালে পুলিস পালায়। এর পর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। কিন্তু ISF প্রার্থীরা রণেভঙ্গ দেননি। বিকেল পর্যন্ত চেষ্টা করে বিডিও অফিসে ঢোকেন তাঁরা। এর পর মনোনয়নপত্র পেশ করেন। কিন্তু প্রার্থীদের অভিযোগ ছিল, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে তাদের নাম রাতারাতি উধাও হয়ে যায় মনোনয়নপত্র পেশের পরও।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, ওই ৮২ জনের মনোনয়নপত্র ফের খতিয়ে দেখতে হবে কমিশনকে। সব ঠিকঠাক থাকলে ওই আইএসএফ প্রার্থীদের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দিতে হবে। বিচারপতি সিনহার ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই মামলার শুনানিতে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন, EXCLUSIVE: সংঘাত তুঙ্গে! রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ তৃণমূলের