তৃণমূলে নাম লিখিয়ে তবে প্রেসিডেন্সি ফিরলেন পুপ্পু সিং
তৃণমূলে নাম লিখিয়ে অবশেষে ফের প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরছেন পাপ্পু সিং। শনিবার ছিল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের ইন্টারভিউ। সেখানেই নির্বাচিত হন পাপ্পু। তিন পুরুষ ধরে প্রেসিডেন্সি কলেজের নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করলেও কিছুদিন আগে বাম ঘনিষ্ঠ এই অভিযোগে শাসকদলের রোষানলে পড়েন তিনি। ঝাড়গ্রামে বদলি করা হয় তাকে। শেষপর্যন্ত গতমাসে তৃণমূলে নাম লেখান পাপ্পু সিং।
তৃণমূলে নাম লিখিয়ে অবশেষে ফের প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরছেন পাপ্পু সিং। শনিবার ছিল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের ইন্টারভিউ। সেখানেই নির্বাচিত হন পাপ্পু। তিন পুরুষ ধরে প্রেসিডেন্সি কলেজের নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করলেও কিছুদিন আগে বাম ঘনিষ্ঠ এই অভিযোগে শাসকদলের রোষানলে পড়েন তিনি। ঝাড়গ্রামে বদলি করা হয় তাকে। শেষপর্যন্ত গতমাসে তৃণমূলে নাম লেখান পাপ্পু সিং।
প্রেসিডেন্সি কলেজে হামলার ঘটনায় যখন শাসক দল তৃণমূল কাঠগড়ায় তখন হঠাত্ই তৃণমূল নেতাদের বিষ নজরে পড়েন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা রক্ষী পাপ্পু সিং। তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ ছিল, বাম ঘনিষ্ট পাপ্পু সিং। তিনিই নাকি হামলার ঘটনায় প্ররোচনা দিয়েছেন। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাকে বারেবারে হেনস্থারও অভিযোগ ওঠে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা ছাড়াও আধিকারিক ও অধ্যাপকরা তাঁর পাশে দাঁড়ান। কিন্তু কিছুদিন পরেই প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে তাঁকে বদলি করে ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজে পাঠিয়ে দেয় সরকার। শুরু হয় সমালোচনা। প্রশ্ন ওঠে তিন প্রজন্ম ধরে পাপ্পুর পরিবার প্রেসিডেন্সিতে কাজ করলেও কখনই তাঁদের বদলি করা হয়নি। দাঙ্গার সময় পাপ্পুর দাদু প্রেসিডেন্সিকে হামলার হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন। তাঁর নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলকও আছে। তাহলে হঠাত্ কি কারণ ঘটল। সমালোচনা সত্ত্বেও সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হঠেনি সরকার। শেষপর্যন্ত ডিসেম্বর মাসে তৃণমূলের শিক্ষাকর্মী সংগঠনে নাম লেখান পাপ্পু।
শনিবার, ১৮ই জানুয়ারি ছিল প্রেসিডেন্সির গ্রুপ ডি পদের নির্বাচন। সেখানেই ফের নির্বাচিত হয়েছেন পাপ্পু। আর এখানেই জোরালো হচ্ছে প্রশ্ন। তবে কি যে সরকার নির্বাচনের আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দলতন্ত্র নয় বলে স্লোগান দিয়েছিল তাদের কাছে এখন দলীয় আনুগত্যই মূল বিবেচ্য? এমনকি নিরাপত্তারক্ষীকেও কি দলীয় আনুগত্যের প্রমাণ দিতে হবে।