পিলখানায় তৃণমূল কর্মীর পা কাটার ঘটনা ঘিরে ফের বিতর্ক
ফের খবরে ট্যাংরা। পিলখানায় তৃণমূল কর্মীর পা কাটার ঘটনা ঘিরে ফের বিতর্ক। হাইকোর্টে শুনানির আগে ফের আক্রান্ত আক্রান্তের পরিবার। রাতের অন্ধকারে আগ্নেয়াস্ত্র, চপার নিয়ে হামলা। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সরব এলাকার মানুষের।
ওয়েব ডেস্ক: ফের খবরে ট্যাংরা। পিলখানায় তৃণমূল কর্মীর পা কাটার ঘটনা ঘিরে ফের বিতর্ক। হাইকোর্টে শুনানির আগে ফের আক্রান্ত আক্রান্তের পরিবার। রাতের অন্ধকারে আগ্নেয়াস্ত্র, চপার নিয়ে হামলা। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সরব এলাকার মানুষের।
রেললাইন থেকে পা কাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তৃণমূল কর্মী রাহুল রায়কে। অভিযোগ ওঠে, শম্ভুনাথ কাউ ঘনিষ্ঠ হওয়াতেই রাহুলের ওপর হামলা চালিয়েছে অপর গোষ্ঠীর লোকজন। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী বিজয়, উত্তম ও জাইয়া রানা সহ মোট ১২জনের বিরুদ্ধে পুলিসে অভিযোগ করে রাহুলের পরিবার। বিজয়কে গ্রেফতার করলেও, বাকিরা এখনও ফেরার। তদন্তে পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে যায় রাহুলের পরিবার। সিবিআই তদন্তের আর্জি জানানো হয়। রাহুলের পরিবারের অভিযোগ, এরপর থেকেই শুরু হয় মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য হুমকি।
পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয় গত সপ্তাহে। তদন্তে গড়িমসির জন্য বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের কড়া ভত্সনার মুখে পড়তে হয় ট্যাংরা থানাকে। মামলার তদন্তভার কেন সিবিআইকে দেওয়া হবে না, ট্যাংরা থানার কাছে তা জানতে চান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। বুধবার সেই মামলার শুনানি, তার আগেই ফের হুমকি, ভাঙচুর। অভিযোগ, রবিবার গভীর রাতে পিলখানায় রাহুলের বাড়িতে সদলবলে চড়াও হয় উত্তম ও জাইয়া রানা। পিস্তল, ক্ষুর, চপার নিয়ে চলে শাসানি।
মামলা প্রত্যাহারের দাবি না মানায়, রাহুলের দাদা গঙ্গা রায়ের মাথায় ক্ষুর দিয়ে আঘাত করে হামলাকারীরা। ট্যাংরা থানা থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে রাতভর তাণ্ডব চললেও, পুলিস কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি বলে অভিযোগ আক্রান্তদের। তাদের অভিযোগের তির, স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা ও ট্যাংরা থানার পুলিস কর্মীদের একাংশের দিকে। এক শ্রেণির পুলিস কর্মীর দিকে আঙুল তুলছেন স্থানীয় বিধায়কও।
পুলিস নিষ্ক্রিয়, রাহুলের রায়ের পরিবারের এখন একমাত্র ভরসা হাইকোর্ট। তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাবে কি? আপাতত সেই প্রশ্নের উত্তরই হাতড়ে বেড়াচ্ছেন পিলখানার মানুষ।