প্রদীপ তা হত্যাকাণ্ড: সিআইডির ভূমিকার সমালোচনা হাই কোর্টে
বর্ধমানে তৃণমূলের হামলায় নিহত সিপিআইএম নেতা প্রদীপ তা-র পরিবারের নিরাপত্তায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে জেলা পুলিস সুপারকে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য নিম্ন আদালতকেও নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। পুলিস এবং সিআইডির ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছে আদালত।
বর্ধমানে তৃণমূলের হামলায় নিহত সিপিআইএম নেতা প্রদীপ তা-র পরিবারের নিরাপত্তায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে জেলা পুলিস সুপারকে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য নিম্ন আদালতকেও নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। পুলিস এবং সিআইডির ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছে আদালত।
গত বছর বাইশে ফেব্রুয়ারি দেওয়ানদিঘিতে খুন হন সিপিআইএম নেতা প্রদীপ তা এবং কমল গায়েন। এ ঘটনায় তিনজনকে ধরলেও পরে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিস। অভিযোগ, এরপর থেকেই প্রদীপ তায়ের পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে বাইরে বেরোলেই স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল কর্মী তাঁদের পিছু নিচ্ছে।
প্রদীপ তা হত্যায় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। ওই মামলার শুনানি চলার সময় নিরাপত্তার আর্জি জানায় প্রদীপ তার পরিজনরা। পরিজনদের বক্তব্য শোনার পরই হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, প্রদীপ তায়ের পরিবার তো বটেই এই মামলায় অন্য সাক্ষীদেরও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে জেলার পুলিস সুপারকে।
সিআইডি ঘটনার তদন্তে গেলেও তাঁদের বক্তব্য ভাল করে শোনা হয়নি বলে অভিযোগ করেছে প্রদীপ তায়ের পরিবার। তাই সিআইডি রিপোর্ট নিয়েও অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট সিআরপিসির ১৬৪ ধারায় প্রদীপ তায়ের স্ত্রী এবং মেয়ের বক্তব্য নিম্ন আদালতকে রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছে।
জেলা পুলিসের ভূমিকা নিয়েও অসন্তুষ্ট আদালত। এ ঘটনায় তিনজনকে ধরা হলেও কেন অভিযুক্তদের ছেড়ে দেওয়া হল, তা নিয়েও তদন্ত করতে ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।