বিদেশিনী বিয়ে করলে নোবেল পাওয়া যায়, বামপন্থী অর্থনীতি এদেশে অচল: রাহুল সিনহা

অভিজিৎকে বামপন্থী মনোভাবাপন্ন বলে নিশানা করেছেন পীযূষ গোয়েল।

Reported By: অঞ্জন রায় | Updated By: Oct 18, 2019, 08:27 PM IST
বিদেশিনী বিয়ে করলে নোবেল পাওয়া যায়, বামপন্থী অর্থনীতি এদেশে অচল: রাহুল সিনহা

অঞ্জন রায়

পীযূষ গোয়েলের পর অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী বঙ্গসন্তানের সমালোচনা করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। এমনকি তাঁর ব্যক্তিগত জীবন তুলে কটাক্ষও করলেন। রাহুল বললেন, ''দ্বিতীয়বার বিদেশিনীকে বিয়ে করলে দেখছি লোকে নোবেল পায়। অমর্ত্য সেনকেও দেখেছি।'' 

বিজেপির জাতীয় সম্পাদক বলেন, ''বামপন্থী অর্থনীতি এদেশে চলে না। মানুষ বামপন্থীকে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিদেশে কোথাও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্ব কাজে লাগতে পারে। তবে ভারতে দারিদ্র দূর করতে উনি কোনও কাজে আসবেন না। ভারতে মহাত্মা গান্ধীর নীতিতেই আর্থিক উন্নতি সম্ভব।'' 

অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নোবেল পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী এস্থার ডাফলো। এস্থার ডাফলো অভিজিতের ছাত্রী ছিলেন। পরে তাঁকে বিয়ে করেন। ডাফলো তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। ডাফলো ফরাসী নাগরিক। সে প্রসঙ্গ তুলে অভিজিৎবাবুকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন রাহুল সিনহা। তাঁর কটাক্ষ, দ্বিতীয় বিয়ে বিদেশিনীকে করলে দেখছি নোবেল পাচ্ছেন লোকেরা। অমর্ত্য সেনের ক্ষেত্রেও এটা হয়েছে।

অভিজিৎকে বামপন্থী মনোভাবাপন্ন বলে নিশানা করেছেন পীযূষ গোয়েল। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর মতে, নোবেল পাওয়ার জন্য ওনাকে শুভেচ্ছা জানাই। কিন্তু আপনারা সকলেই জানেন, উনি বামপন্থী মানসিকতার। উনি ন্যায় প্রকল্পের গুণগান গেয়েছিলেন। ভারতের মানুষ ওনার মতকে খারিজ করে দিয়েছে।

বলে রাখি, কংগ্রেসের ন্যায় প্রকল্প রূপরেখা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে তিনি নোবেল পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা ব্যাকফুটে গেরুয়া শিবির। বিশেষ করে ন্যায় প্রকল্পের মাহাত্ম্য তুলে ধরার সুযোগ পেয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘণ্টাখানেক সময় নিয়ে অভিজিতকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছিলেন। আর রাহুল গান্ধী টুইটারে লিখেছিলেন,ভারতের আর্থিক উন্নয়নে ও দারিদ্র দূর করতে ন্যায় প্রকল্পের রূপরেখা তৈরিতে সাহায্য করেছিলেন অভিজিৎ। তার বদলে এখন চলছে মোদীনীতি। যা দেশের অর্থনীতিতে ধ্বংস করছে। বাড়ছে দারিদ্র। 

মোদী জমানায় ভারতের অর্থনীতি নিয়েও সমালোচনা করেছেন। তাঁর কথায়, ''দেশের অর্থনীতিতে চাহিদা কমছে। এটা আশঙ্কার বিষয়।'' এমআইটি-তে ভাষণ দেওয়ার সময় অভিজিৎ বলেছেন, পরিসংখ্যান সঠিক, বেঠিক নিয়ে লড়াই চলছে ভারতে। যে পরিসংখ্যান সরকারের পক্ষে নয়, তা ভুল মনে করছে তারা। কিন্তু আমার মনে হয় সরকারও বুঝতে পারছে, সমস্যা রয়েছে। ক্রমশ স্লথ হচ্ছে অর্থনীতি। কতটা দ্রুতবেগে অধোগামী হচ্ছে, তা নিয়ে পরিসংখ্যানে বিভ্রান্তি রয়েছে। তবে আমার মনে হচ্ছে, বেশ দ্রুতই।''

আরও পড়ুন- ফোন করলেন শিক্ষামন্ত্রী, কন্যাকুমারীতে পেলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে

.