আত্মসমর্পণের পর নার্সিংহোমে সুচিত্রা

বহু জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শুক্রবার মহাকরণে আত্মসমর্পণ করলেন রাজ্যে মাওবাদীদের অন্যতম শীর্ষনেত্রী সুচিত্রা মাহাত। গত বছরের ২৪ নভেম্বর কিষেনজির মৃত্যুর পর থেকে সুচিত্রা মাহাতর শারীরিক অবস্থা ও অবস্থান সম্পর্কে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। পুলিস জানিয়েছিল বুড়িশোলের জঙ্গলে এনকাউন্টারে গুলি লাগলেও পালাতে পেরেছিলেন সুচিত্রা। তার পর থেকেই তাঁর খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিস।

Updated By: Mar 9, 2012, 04:09 PM IST

মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো সুচিত্রা মাহাতকে দক্ষিণ কলকাতার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করাল রাজ্য সরকার। এর আগে শুক্রবার বিকেলে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মহাকরণে আত্মসমর্পণ করেন রাজ্যে মাওবাদীদের অন্যতম শীর্ষনেত্রী সুচিত্রা মাহাত। গত বছরের ২৪ নভেম্বর কিষেনজির মৃত্যুর পর থেকে সুচিত্রা মাহাতর শারীরিক অবস্থা ও অবস্থান সম্পর্কে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। পুলিস জানিয়েছিল বুড়িশোলের জঙ্গলে এনকাউন্টারে গুলি লাগলেও পালাতে পেরেছিলেন সুচিত্রা। তার পর থেকেই তাঁর খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিস। শুক্রবার দেখা গেল, ইতিমধ্যে বিয়ে সেরে ফেলেছেন সুচিত্রা মাহাত।
এদিন সুচিত্রা ও তাঁর স্বামী প্রবীর গড়াইকে পাশে নিয়েই সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রী। মূলস্রোতে ফেরার জন্য অভিনন্দন জানিয়ে সমস্ত রকম সরকারি সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সুচিত্রা বলেন, "আমি দীর্ঘদিন মাওবাদীদের জীবন কাটিয়েছি। এখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাই।" তিনি সাংবাদিকদের আরও জানান মাওবাদীদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর  মূলস্রোতে ফেরার যে আহ্বান ছিল, তাতে সাড়া দিয়েই তিনি আইবি-র কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তবে সুচিত্রাকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে দেননি মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আত্মসমর্পণের ঠিক আগের অবস্থান  নিয়েও সুচিত্রা বিশেষ মুখ খোলেননি। তবে তাঁর স্বামী প্রবীর গড়াই বলেন, তাঁর স্ত্রীর আত্মসমর্পণের পেছনে 'অনেক কারণ' রয়েছে। তাঁর এই মন্তব্য স্বভাবতই ধোঁয়াশা জারি থাকল।
১৯৯৫ সালে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন সুচিত্রা মাহাত। তখন এমসিসি-র সদস্য ছিলেন তিনি। এর পর শশধর মাহাতর সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। শুরু থেকেই সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ছিলেন তিনি। বস্তুত, এরাজ্যে তিনিই মাওবাদীদের মহিলা সংগঠনের শীর্ষ নেত্রী ছিলেন। ফলে, আজ তাঁর আত্মসমর্পণে নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা খেল এরাজ্যের মাওবাদী আন্দোলন।

.