C V Ananda Bose: উপাচার্যের কথা মেনেই চলবেন আধিকারিকরা, রাজ্যপালের নির্দেশিকায় ফের বিতর্ক
C V Ananda Bose: রবিবার বেশ কয়েকটি কর্মসূচি ছিল রাজ্যপালের। এরকমই এক অনুষ্ঠানের শেষে রাজ্যপাল উপাচার্যদের নিয়ে তাঁর বক্তব্য রাখেন। সি ভি আনন্দ বোস বলেন, বিভ্রান্তি দূর করার লক্ষ্যেই তিনি ওই নির্দেশিকা জারি করেছেন
বিক্রম দাস: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত লেগেই রয়েছে। তার মধ্যে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে একটি নির্দেশিকা। রাজ্য নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা শুধুমাত্র উপাচার্যের কথা মেনেই চলবেন। এমনই একটি নির্দেশিকা জারি হয়েছে রাজভবন থেকে। অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগকে রাজ্য স্বীকৃতি না দেওয়াতেই কি এমন নির্দেশিকা রাজভবনের? এমনই প্রশ্ন উঠছে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই সেইসব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন রাজ্যপাল। কিছুদিন আগে এমনই নির্দেশিকা দেওয়া হয়। ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবেই ওই নির্দেশিকা। দাবি রাজভবনের।
আরও পড়ুন-বহুতলের বেসমেন্টে গাড়িতেই চলছিল ক্রিকেট বেটিং, পাকড়াও ২
এখনও পর্যন্ত কিছু বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে উপাচার্য নেই সেখানে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেখানে উপাচার্য নেই। সেইসব বিশ্ববিদ্য়ালয়ের জন্য একটি নির্দেশিকা দেন রাজ্যপাল। বলা হয় ওইসব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন রাজ্যপাল। আবার রাজভবন থেকে আরও একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা শুধুমাত্র উপাচার্যের নির্দেশিকা মেনেই চলবেন।
এনিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বলেন, যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে তা দেওয়া হয়েছে বিভ্রান্তি দূর করার জন্য। ওখানে বলা হয়েছে সরকারের উচিত বিশ্ববিদ্য়ালয়গুলিকে স্বশাসন দেওয়া। সুপ্রিম কোর্ট ও ইউজিসির আইনে তা রয়েছে। উপাচার্যদের কথা মেনেই আধিকারিকরা কাজ করবেন। আচার্য উপাচার্যের কাজ করতে পারেন না, করা উচিত নয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে যেমন যেকানে পড়ুয়াদের শংসাপত্র পেতে সমস্যা হচ্ছে সেখানে অধ্যক্ষ হস্তক্ষেপ করবেন। এর বেশি কিছু নয়।
রবিবার বেশ কয়েকটি কর্মসূচি ছিল রাজ্যপালের। এরকমই এক অনুষ্ঠানের শেষে রাজ্যপাল উপাচার্যদের নিয়ে তাঁর বক্তব্য রাখেন। সি ভি আনন্দ বোস বলেন, বিভ্রান্তি দূর করার লক্ষ্যেই তিনি ওই নির্দেশিকা জারি করেছেন। উপাচার্যদের কাজ করতে যাতে কোনও অসুবিধে না হয় তার জন্য়ই ওই নির্দেশিকা।
রাজ্যপালের ওই নির্দেশিকায় তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এনিয়ে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, উনি কি শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে ধ্বংস করে দিতে চাইছেন? ইউজিসি কি নেই? কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিরে ক্ষেত্রেও কি একই ব্যবস্থা? সেখানে শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদী বা উপাচার্যের কথা শুনতে হবে? কী করছেন উনি?
কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ রায় এনিয়ে বলেন, খামোকা উনি সংঘাত বাড়াচ্ছেন। রাজ্যপাল ও তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বৈরথ দেখতে দেখতে মানুষ ক্লান্ত। নিয়োগকর্তা নিশ্চই রাজভবন। কিন্তু একটা নির্বাচিত সরকারও তো রয়েছে রাজ্যে। রাজভবনের ক্ষমতা সীমিত। সেই ক্ষমতা থেকেই বিষয়টি দেখা উচিত রাজভবনের। আচার্য মানে এটা নয় যে সব বিষয়টি তিনি নিয়ন্ত্রণ করবেন।