দিদির পরে মুকুলই ছিলেন দলের সর্বেসর্বা, হঠাত্ অন্তরাল, কোথায় ছিলেন মুকুল?
দলনেত্রী ছাড়া মুকুল রায়ের বিধানই ছিল শেষ কথা। কিন্তু গত কয়েকমাস ধরেই কার্যত অন্তরালে তিনি। একটু যেন অন্যরকম। কোথায় যেন কেটে গেছে তাল। কেন? সর্বত্রই ফিসফিসানি। প্রশ্নের ঝড়।দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর প্রধান সেনাপতি মুকুল রায়। তৃণমূল শিবিরে সাপ-লুডো খেলায় অনেককেই পড়তে হয়েছে সাপের মুখে। তবে, ব্যতিক্রম একজনই। তিনি মুকুল রায়।
দলনেত্রী ছাড়া তাঁর বিধানই হয়ে দাঁড়িয়েছিল শেষ কথা। এ হেন মুকুল রায়কে গত কয়েকমাস ধরে দেখা যাচ্ছিল, একটু যেন অন্যরকম। কোথায় যেন কেটে গেছে তাল। প্রথমে মুকুল-ঘনিষ্ঠদের ছাঁটা হল ডানা। তিনিও আসতে আসতে চলে যেতে শুরু করলেন পর্দার আড়ালে। নো প্রেস, নো কমেন্টস। দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে গরহাজির মুকুল রায়। দলের কোর কমিটির বৈঠক কালীঘাটে, মুকুল রায় দিল্লিতে। মদন মিত্রকে নিয়ে রাস্তায় তৃণমূল, নেই শুধু মুকুল রায়।
এতটাই কোণঠাসা হয়ে পড়লেন দলের অভ্যন্তরে, নাকি অন্য কিছু! সর্বত্রই একই ফিসফিসানি। বেশ কিছুদিন বাদে দলের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এলেন তিনি। মুখও খুললেন সাংবাদিকদের সামনে। তার পর থেকে আবার কার্যত অন্তরালে। মুকুল রায়কে সিবিআই ডাকতে চলেছে, খবরটা বহুদিন ধরেই ছিল অনুমানে। সত্যি হতেই প্রশ্নঝড় তৃণমূল শিবিরে। কে সামলাবেন এবার দল? কী হবে রণকৌশল?
দলের এরকম বিপদে তিনিই ছিলেন রক্ষাকর্তা। এখন সেই রক্ষাকর্তার পাশে দল কীভাবে দাঁড়ায়, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।