গাঁটের ব্যথায় ভুগছেন? হাতের কাছে ডিমের খোসা থাকতে চিন্তা কীসের!
আসুন জেনে নেওয়া যাক, ডিমের খোসা কয়েকটি আশ্চর্য গুণাগুণ সম্পর্কে...
নিজস্ব প্রতিবেদন: ডিম ভালবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল! ডিম খেতেও যেমন ভাল, তেমনই স্বাস্থ্যকর। ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে মোটামুটি আমরা প্রায় সকলেই জানি। কিন্তু জানেন কি ডিমের খোসাও খুবই উপকারী! আসুন জেনে নেওয়া যাক, ডিমের খোসা কয়েকটি আশ্চর্য গুণাগুণ সম্পর্কে...
১) সাধের ফুলের বাগানে বার বার পোকার উপদ্রবে গাছ নষ্ট হচ্ছে? গাছের গোড়ায় গোড়ায় ডিমের খোসা গুঁড়ো করে ছড়িয়ে দিন। পোকা-মাকড় গাছের ধারে কাছেও ঘেঁষবে না।
২) কফির তিক্ত ভাব কমাতে কফির সঙ্গে ডিমের খোসার গুঁড়ো এক চিমটে মিশিয়ে দিন। কফি গুলিয়ে নেওয়ার পর একটু সময় দিন। ডিমের খোসার গুঁড়ো থিতিয়ে নীচে পড়ে যাবে আর কফির তিক্ত স্বাদও অনেকটাই কমে যাবে।
৩) ১টা ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে একটা বা দু’টো ডিমের খোসা ভাল করে গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। এ বার ওই প্যাক মুখে ১৫ মিনিট মতো লাগিয়ে রেখে উষ্ণ জল দিয়ে আলতো ঘষে ধুয়ে ফেলুন! এতে ত্বকের কালচে ভাব কেটে যাবে। ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল, প্রাণবন্ত! এই প্যাক নিয়মিত ব্যবহার করতে পারলে (সপ্তাহে ২ বারের বেশি নয়), ব্রণর সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব!
আরও পড়ুন: এই ৫ কারণে রক্তে সুগারের মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে!
৪) গাঁটের ব্যথা বা জয়েন্ট পেইন কমাতে একটি পাত্রে অ্যাপল সিডার ভিনিগারের সঙ্গে একটা গোটা ডিমের খোসা ভাল করে গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। এটাকে অন্তত ২-৩ দিন রেখে দিলে দেখবেন, ডিমের খোসাগুলি ভিনিগারের সঙ্গে একেবারে মিশে গিয়েছে। এই মিশ্রণ দিয়ে ব্যথার জায়গায় আলতো করে চাপ দিয়ে মালিশ করুন। ডিমের খোসায় থাকে কোলাজেন, গ্লুকোসামিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড যা ভিনিগারের সঙ্গে মিশে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।