বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় গন্ডারের মৃত্যু ঠেকাতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ অসম সরকারের
ওয়েব ডেস্ক: কাজিরাঙায় ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ যাচ্ছে গন্ডারের। মৃত্যু ঠেকাতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ অসম সরকারের। অ্যানিমাল করিডরে গাড়ির গতি বেঁধে দেওয়া হল ৪০ কিলোমিটার। না মানলেই ৫০০০ টাকা জরিমানা।
প্রশ্ন ১
এই মুহূর্তে কাজিরাঙায় একশৃঙ্গ গন্ডারের সংখ্যা কত?
প্রশ্ন ২
চোরাশিকারিদের হাতে কটি গন্ডার প্রাণ হারিয়েছে?
প্রশ্ন ৩
ভয়াবহ বন্যায় ঠিক কটি গন্ডারের মৃত্যু হয়েছে?
কোনও কুইজ শোয়ে যদি এই প্রশ্নগুলো ধেয়ে আসে, উত্তর দিতে পারবেন কি? কিংবা এই পুজোয় কি কাজিরাঙা যাওয়ার প্ল্যান করেছেন? জিপে বা হাতির পিঠে চেপে একশিঙা গন্ডার-দর্শন? অপূর্ণ সাধ নাও মিটতে পারে। কারণ, দ্রুত কমছে গন্ডারের সংখ্যা। গত ২ বছরে অসমের ভয়াবহ বন্যায় প্রায় ২৫টি একশিঙা গন্ডারের মৃত্যু হয়েছে।
বন্যার হাত থেকে বাঁচতে প্রতি বর্ষায় কাজিরাঙা থেকে কার্বি আংলংয়ের পথে পা বাড়ায় গন্ডারের দল। হাতি, হরিণও থাকে সেই দলে। অসমের বুক চিরে চলে গেছে ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক। একদিকে কাজিরাঙা, অন্যদিকে কার্বি আংলং। মাঝে একাধিক অ্যানিমাল করিডর। বুরাপাহাড়, কাঞ্চনঝুরি, পানবাড়ি। কিন্তু এখানেই ওত পেতে থাকে ভয়ানক বিপদ। রাস্তা পেরোনোর সময় দ্রতগতির গাড়ির ধাক্কায় প্রায়ই মারা পড়ে গন্ডার। তা ছাড়া এই সুযোগে ঝোপ বুঝে কোপ মারে চোরাশিকারির দল। গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়ে শিং কেটে নিয়ে চলে যায় তারা।
২০০১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত গাড়ির ধাক্কায় এবং চোরাশিকারির গুলিতে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২৫০টি গন্ডারের। উদ্বিগ্ন অসম সরকার। বন্যপ্রাণ এভাবে শেষ হতে দেওয়া যাবে না। ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর অ্যানিমাল করিডরে বেঁধে দেওয়া হয়েছে গাড়ির গতি। না মানলেই মোটা টাকা ফাইন। নজরদারি বাড়িয়েছে বন দফতর। চলছে হাইওয়ে পেট্রলিং। ঐতিহ্যকে হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না।