নন্দীগ্রামের ছায়া অসমে, জমি উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ!

নন্দীগ্রামের ছায়া অসমে। জমি উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ। রণক্ষেত্র কাজিরাঙা অভয়ারণ্য লাগোয়া নওগাঁ জেলার বান্দেরদুবি এবং দেওচুরচাং গ্রাম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিসের গুলি। ২ বিক্ষোভকারীর মৃত্যু। ১৮জন পুলিসকর্মী সহ জখম ৫ আন্দোলনকারী।কালিবোর মহকুমার দুটি গ্রাম। একটি বান্দেরদুবি। অন্যটি দেওচুরচাং। প্রথম গ্রামে ১৯০ পরিবারের বাস। দ্বিতীয় গ্রামে ১৬০। সকলেই বাংলাদেশি উদ্বাস্তু। ব্রহ্মপুত্রের শাখানদী মোরা ডিফলুর অববাহিকায় সরষের চাষ করেই দিন গুজরান। আবার কাজিরাঙা অভয়ারণ্যে একশৃঙ্গ গণ্ডারের চারণভূমি। গণ্ডার সংরক্ষণের জন্য ১ বছর আগে বান্দেরদুবি এবং দেওচুরচাং গ্রামের বাসিন্দাদের  অন্যত্র সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল গুয়াহাটি হাইকোর্ট। অবশেষে আদালতের নির্দেশ কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয় অসম সরকার। ঠিক হয়, সোমবার শুরু হবে উচ্ছেদ পর্ব। সেইমত রবিবার রাত থেকে থেকে ওই ২ গ্রামে মোতায়েন হয় বিশাল পুলিস বাহিনী। সরকার ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলে প্রথমে সরে যেতে রাজি হন দুই গ্রামের বাসিন্দারা। কিন্তু, তারপরেই বেঁকে বসেন বান্দেরদুবির বাসিন্দারা। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, বাংলাদেশি উদ্বাস্তু হওয়ায়, তাঁদের হয়তো পূনর্বাসন দেবে না বিজেপি শাসিত অসম সরকার। এই ভয় থেকেই প্রতিরোধ গড়েন গ্রামবাসীরা। অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে ওই গ্রামে শুরু হয় বিক্ষোভ।

Updated By: Sep 19, 2016, 09:21 PM IST
  নন্দীগ্রামের ছায়া অসমে, জমি উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ!

ওয়েব ডেস্ক: নন্দীগ্রামের ছায়া অসমে। জমি উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ। রণক্ষেত্র কাজিরাঙা অভয়ারণ্য লাগোয়া নওগাঁ জেলার বান্দেরদুবি এবং দেওচুরচাং গ্রাম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিসের গুলি। ২ বিক্ষোভকারীর মৃত্যু। ১৮জন পুলিসকর্মী সহ জখম ৫ আন্দোলনকারী।কালিবোর মহকুমার দুটি গ্রাম। একটি বান্দেরদুবি। অন্যটি দেওচুরচাং। প্রথম গ্রামে ১৯০ পরিবারের বাস। দ্বিতীয় গ্রামে ১৬০। সকলেই বাংলাদেশি উদ্বাস্তু। ব্রহ্মপুত্রের শাখানদী মোরা ডিফলুর অববাহিকায় সরষের চাষ করেই দিন গুজরান। আবার কাজিরাঙা অভয়ারণ্যে একশৃঙ্গ গণ্ডারের চারণভূমি। গণ্ডার সংরক্ষণের জন্য ১ বছর আগে বান্দেরদুবি এবং দেওচুরচাং গ্রামের বাসিন্দাদের  অন্যত্র সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল গুয়াহাটি হাইকোর্ট। অবশেষে আদালতের নির্দেশ কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয় অসম সরকার। ঠিক হয়, সোমবার শুরু হবে উচ্ছেদ পর্ব। সেইমত রবিবার রাত থেকে থেকে ওই ২ গ্রামে মোতায়েন হয় বিশাল পুলিস বাহিনী। সরকার ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলে প্রথমে সরে যেতে রাজি হন দুই গ্রামের বাসিন্দারা। কিন্তু, তারপরেই বেঁকে বসেন বান্দেরদুবির বাসিন্দারা। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, বাংলাদেশি উদ্বাস্তু হওয়ায়, তাঁদের হয়তো পূনর্বাসন দেবে না বিজেপি শাসিত অসম সরকার। এই ভয় থেকেই প্রতিরোধ গড়েন গ্রামবাসীরা। অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে ওই গ্রামে শুরু হয় বিক্ষোভ।

আরও পড়ুন এমন মুরগি সম্ভাবত আপনি জীবনে দেখেননি

বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে বান্দেরদুবি গ্রামে লাঠি চালায় পুলিস। পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে না আসায় শূন্যে টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিস। তাতেও কাজ না হওয়ায় চলে গুলি। প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে। আহতদের জাখালাবান্ধা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর থেকে থমথমে বান্দেরদুবি গ্রাম। তবে উচ্ছেদকে ঘিরে দেওচুরচাং গ্রামে হিংসার কোনও ঘটনা ঘটেনি।শেষপর্যন্ত বুলডোজার এবং হাতির সাহায্যে ভাঙা হল বাড়ি। ভিটেমাটি হারিয়ে, ৩৭নম্বর জাতীয় সড়কে আশ্রয় নেয় বহু পরিবার।

আরও পড়ুন  প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজার করে সেলফি তুলছেন এই সেলিব্রেটি!

.