আর্থিক সংস্কারের পথে এগোতে গিয়ে বড়সড় ধাক্কা খেল মোদী সরকার
আর্থিক সংস্কারের পথে এগোতে গিয়ে বড়সড় ধাক্কা খেল মোদী সরকার। সব রাজ্যের সম্মিলিত বিরোধিতায় থমকে গেল পণ্য ও পরিষেবা কর চালুর পরিকল্পনা। কেন্দ্র যে ভাবে জিএসটি চালু করতে চাইছে তাতে রাজ্যগুলি রাজস্ব হারাবে বলে আজ অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে সরব হন অমিত মিত্র। বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিও তাঁর যুক্তি মেনে নেওয়ায় আপাতত বিশ বাঁও জলে পণ্য ও পরিষেবা কর।
ওয়েব ডেস্ক: আর্থিক সংস্কারের পথে এগোতে গিয়ে বড়সড় ধাক্কা খেল মোদী সরকার। সব রাজ্যের সম্মিলিত বিরোধিতায় থমকে গেল পণ্য ও পরিষেবা কর চালুর পরিকল্পনা। কেন্দ্র যে ভাবে জিএসটি চালু করতে চাইছে তাতে রাজ্যগুলি রাজস্ব হারাবে বলে আজ অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে সরব হন অমিত মিত্র। বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিও তাঁর যুক্তি মেনে নেওয়ায় আপাতত বিশ বাঁও জলে পণ্য ও পরিষেবা কর।
২০১৬-র পয়লা এপ্রিল থেকে পণ্য ও পরিষেবা কর চালু করতে চাইছে কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যে ১২২তম সংবিধান সংশোধনী বিলটি নিয়ে আলোচনা করতে আজ দিল্লিতে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে খসড়া বিলটির বিরোধিতা করেন অমিত মিত্র। তিনি বলেন,
পণ্য ও পরিষেবা কর চালু করতে গিয়ে রাজ্যগুলির রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৭৮ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু, কেন্দ্র মাত্র ১১ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে দায় সারতে চাইছে।
অমিত মিত্র দাবি করেন, জিএসটি চালুর আগে রাজ্যগুলি যাতে ১০০% ক্ষতিপূরণ পায় তা নিশ্চিত করা দরকার এবং কী ভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে তাও স্পষ্ট করে জানাতে হবে। রাজ্যগুলির যে কোনও রাজস্ব ক্ষতি হবে না, পণ্য ও পরিষেবা কর বিলেই তার উল্লেখ করতে হবে বলে দাবি জানান অমিত মিত্র।
পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রীর এই যুক্তি মেনে নেন অন্য রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরাও। রাজ্যের রাজস্ব ক্ষতির বিনিময়ে জিএসটি চালু করতে চাইলে তা মানা হবে না বলে একযোগে জানিয়ে দেন তাঁরা। খোদ গুজরাত সমেত বিজেপি-শাসিত রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরাও অমিত মিত্রর তোলা দাবিগুলির সঙ্গে বৈঠকে সহমত হন। পেট্রোপণ্যকে জিএসটি-র বাইরে রাখা, জিএসটি চালু হলেও প্রবেশ কর বহাল রাখার সুযোগ ও তামাক এবং তামাকজাত পণ্যের ওপর কর বসানোর অধিকারের দাবিতেও সরব হয়েছেন অমিত মিত্র। জিএসটির ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্যের জন্য সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা দাবি করেছেন তিনি। অমিত মিত্রর পথেই সব রাজ্য একযোগে বিরোধিতা করায় আপাতত অনিশ্চিত হয়ে পড়ল জিএসটি চালুর পরিকল্পনা। শুধু সংসদে বিরোধিতাই নয়, এর জেরে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় বিজেপি বিরোধী শক্তির নিয়ন্ত্রণও অনেকটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে চলে এল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।