লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাস হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল
রাজ্যসভার কঠিন চ্যালেঞ্জও পেরিয়ে গেল মোদী-শাহ জুটি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও তুমুল বিতর্কের পর পাস হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। রাজ্যসভায় বিজেপি সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করে ফেলেন মোদী-শাহ। বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ১২৫টি। ১০৫ জন সাংসদ ভোট দিয়েছেন বিলের বিপক্ষে। এবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ স্বাক্ষর করলে বিলটি আইনে পরিণত হবে।
সোমবার লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করিয়ে নিয়ে সক্ষম হয়েছে সরকারপক্ষ। কিন্তু রাজ্যসভায় বিজেপি সংখ্যালঘু। ফলে রাজ্যসভায় বিলটির গতি কি হতে চলেছে, সে দিকে নজর ছিল গোটা দেশের। মঙ্গলবারই জানা গিয়েছিল, প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করে ফেলেছে কেন্দ্রের শাসক দল। সেই মতোই রাজ্যসভায় পাস হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। বিলটি সিলেক্ট পাঠানোর দাবি তুলেছিল বিরোধীরা। কিন্তু ভোটাভুটিতে খারিজ হয়ে যায় তা। এরপর ১৪টি সংশোধনী প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যাত হয় ভোটাভুটিতে। তখনই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বিলটির ভাগ্য। প্রায় ৮ ঘণ্টা বিতর্কের পর পাস হয় বিলটি। ভোটাভুটির সময় ২৪০ জন সাংসদের মধ্যে রাজ্যসভার অধিবেশনকক্ষে উপস্থিত ছিলেন ২৩০ জন। তার জেরে ম্যাজির ফিগার নেমে দাঁড়ায় ১১৬। বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ১২৫টি। বিপক্ষে ভোট দেন ১০৫ জন সাংসদ। ভোটাভুটি শুরুর আগেই সভাকক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান শিবসেনার ৩ সাংসদ। ছিলেন না বহুজন সমাজ পার্টি এবং এনসিপির ৪ সাংসদও। তবে নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কংগ্রেস।
#CitizenshipAmendmentBill2019 passed in Rajya Sabha;
125 votes in favour of the Bill, 105 votes against the Bill pic.twitter.com/P10IqkSlCs
— ANI (@ANI) December 11, 2019
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে মুসলিমদের আশঙ্কার কোনও কারণ নেই বলে এদিন রাজ্যসভায় স্পষ্ট করেন অমিত শাহ। বলেন, ''বিলে দেশের মুসলিমদের কোনও ক্ষতি হবে না। তাঁরা এদেশের নাগরিক ছিলেন এবং থাকবেন। এনিয়ে দেশের একজন মুসলিমেরও শঙ্কার কোনও কারণ নেই। এনিয়ে যা রটানো হচ্ছে তা ঠিক নয়। মোদী সরকারের নেতৃত্বে এদেশের মুসলিমরা নিরাপদ। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে বিশ্বের সব দেশের মুসলিমদের এদেশে আশ্রয় দিতে হবে। কোথা থেকে দেব! কীভাবে চলবে দেশ!''
আরও পড়ুন- নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রত্যাহারে সরকারকে আবেদন দেশের বুদ্ধিজীবীদের