নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রত্যাহারে সরকারকে আবেদন দেশের বুদ্ধিজীবীদের

অবিলম্বে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রত্যাহার করুক কেন্দ্রীয় সরকার, আবেদন বুদ্ধিজীবীদের। 

Updated By: Dec 11, 2019, 11:31 PM IST
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রত্যাহারে সরকারকে আবেদন দেশের বুদ্ধিজীবীদের

নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের সমালোচনা করে চিঠি দিলেন অন্তত ছশো জন বুদ্ধিজীবী। তালিকায় নাম রয়েছে শিল্পী-সাহিত্যিক থেকে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির। তাঁদের মতে, বিল অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক। খোলা চিঠিতে অবিলম্বে বিল প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

সংসদে উত্তপ্ত আলোচনা। দেশের উত্তরপূর্বে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। দেশের অন্য প্রান্তেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে প্রতিবাদ চলছে। এর মাঝেই এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে সরব হলেন বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। প্রায় ছশোজন সাহিত্যিক, শিল্পী, সমাজকর্মী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, আন্দোলনকারী এই চিঠিতে সই করেছেন। তালিকায় রয়েছেন নয়নতারা সেহগল, অরুন্ধতী রায়, অমিতাভ ঘোষ, অর্পণা সেন, টি এম কৃষ্ণ, সুধীর পট্টবর্ধন, নীলিমা শেখ, নন্দিতা দাস, আনন্দ পট্টবর্ধন, রোমিলা থাপার, প্রভাত পট্টনায়েক, রামচন্দ্র গুহ, তিস্তা শীতলবাদ, অরুণা রায়, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ পি শাহ, যোগেন্দ্র যাদবরা। 

চিঠিতে বিশিষ্টদের বক্তব্য,নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বিভেদ সৃষ্টিকারী, বৈষম্যমূলক এবং অসাংবিধানিক। ভারতের সংবিধান লিঙ্গ, জাতি, ধর্ম, শ্রেণি, সম্প্রদায় ও ভাষা নির্বিশেষে সাম্যের অধিকার দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এবং এনআরসি-র ফলে দেশজুড়ে মানুষের ওপর অসহনীয় দুর্ভোগ নেমে আসবে। সরকার যেন সংবিধানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা না করে। খোলা চিঠিতে বুদ্ধিজীবীদের আবেদন, অবিলম্বে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রত্যাহার করুক কেন্দ্রীয় সরকার।

বলে রাখি, এদিন রাজ্যসভায় পেশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। প্রায় ৮ ঘণ্টা বিতর্কের পর পাস হয় সেটি। ভোটাভুটির সময় ২৪০ জন সাংসদের মধ্যে রাজ্যসভার অধিবেশনকক্ষে উপস্থিত ছিলেন ২৩০ জন। তার জেরে ম্যাজির ফিগার নেমে দাঁড়ায় ১১৬। বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ১২৫টি। বিপক্ষে ভোট দেন ১০৫ জন সাংসদ। ভোটাভুটি শুরুর আগেই সভাকক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান শিবসেনার ৩ সাংসদ। ছিলেন না বহুজন সমাজ পার্টি এবং এনসিপির ৪ সাংসদও। 

আরও পড়ুন- বিল পাসের পর উচ্ছ্বাস পাকিস্তানি হিন্দু বধূর, শিশুকন্যার নাম দিলেন নাগরিকতা

.