ইস্তফার পরে মুম্বইয়ের হোটেলে ‘বন্দি’ বিধায়ক! কর্নাটকে সরকার বাঁচাতে দফায়-দফায় বৈঠক কংগ্রেস-জেডিএস-এর

গত কাল কংগ্রেস-জেডিএস-এর জোট সরকারের ১১ বিধায়ক স্পিকারের কাছে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দেন। কংগ্রেসের ৮ ও জেডিএস-এর ৩ বিধায়ক রয়েছেন

Updated By: Jul 7, 2019, 01:30 PM IST
ইস্তফার পরে মুম্বইয়ের হোটেলে ‘বন্দি’ বিধায়ক! কর্নাটকে সরকার বাঁচাতে দফায়-দফায় বৈঠক কংগ্রেস-জেডিএস-এর
ছবি-টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন: চাপান-উতর অব্যাহত। আজ সকালে জেডিএস-এর প্রধান এইচডি দেবেগৌড়ার বাসভবনে গিয়ে কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার-সহ অন্যান্য নেতারা এক দফা বৈঠক করেন। মল্লিকার্জুন খাড়গে, সিদ্দারামাইয়ারা সাংবাদিকদের সামনে এসে সাফাই দিতে থাকেন, সরকার ফেলতে বিজেপির ষড়যন্ত্র করছে। লোটাস অপারেশন চালানো হচ্ছে। কিন্তু সবই ব্যর্থ হবে। এখনও পর্যন্ত সব কিছু ঠিকঠাক আছে বলে দাবি কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার।

গত কাল কংগ্রেস-জেডিএস-এর জোট সরকারের ১১ বিধায়ক স্পিকারের কাছে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দেন। কংগ্রেসের ৮ ও জেডিএস-এর ৩ বিধায়ক রয়েছেন। কংগ্রেসের অভিযোগ, এই মুহূর্তে তাঁদের মুম্বইয়ের একটি হোটেলে আটকে রেখেছে বিজেপি। তবে, সে অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে বিজেপি। ইয়েদ্দুরাপ্পা বলেন, “কুমারস্বামী বা সিদ্দারামাইয়া কী বলবেন তা বলতে পারবো না। এই ঘটনায় আমরা কোনওভাবে জড়িত নই। যা ঘটছে শুধুমাত্র দেখে যান।”

আরও পড়ুন- বিজেপিতে যোগ দিলেন স্বপ্না চৌধুরি

উল্লেখ্য, আজ মুম্বইয়ের একটি হোটেলের সামনে কংগ্রেস নেতা মহেন্দ্র সিঙ্ঘিকে দেখা যায়। প্রশ্ন করা হলে তিনি যুক্তি দেন, রমেশ জারকিহলির সঙ্গে দেখা করি। অন্যান্য বিধায়কের সঙ্গে দেখা করতে আসিনি। তাঁদের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি কংগ্রেস নেতার। তবে, সিদ্দারামাইয়া জানান, ৫-৬ বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। এ বিষয়ে বেশি আর কিছু বলবো না। প্রত্যেকেই দলের অনুগত। কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে জানান, ১২ জুলাইয়ের মধ্যে গোটা ছবি স্পষ্ট হবে। ওই দিনই বসবে বিধানসভার অধিবেশন।

উল্লেখ্য, ২২৪ বিধানসভা আসনে কংগ্রেস ও জেডিএস-এর আসন ছিল ১১৮। গত সোমবার দুই বিধায়ক ইস্তফা দেয়। আর আগামিকালে ১১ বিধায়কের ইস্তফা গৃহীত হলে তাহলে মোট ১৩ বিধায়ক ইস্তফা দেবে। তখন জোট সরকারের মোট বিধায়ক দাঁড়াবে ১০৫। বিজেপির হাতেও রয়েছে ১০৫ বিধায়ক। ২২৪ আসনের ম্যাজিক ফিগার ১১৩ থেকে কমে তখন দাঁড়াবে ১০৬। অর্থাত্ কংগ্রেস ও জেডিএস-এর সরকারে থাকা কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে।

.