নারোদা পাটিয়া মামলার রায়দান আজ
গোধরা পরবর্তী নারোদা পাটিয়া হিংসা মামলায় আজ রায়দান করবে আমেদাবাদের বিশেষ আদালত। ২০০২-এ গোধরা পরবর্তী হিংসায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
গোধরা পরবর্তী নারোদা পাটিয়া হিংসা মামলায় আজ রায়দান করবে আমেদাবাদের বিশেষ আদালত। ২০০২-এ গোধরা পরবর্তী হিংসায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
গোধরার ঠিক একদিন পরেই ২০০২-এর ২৮ ফেব্রুয়ারি বনধের ডাক দেয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সেদিন নারোদা পাটিয়া এলাকায় একটি জমায়েত থেকে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। ঘটনায় ৯৭ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ৩৩ জন। দায়ের করা হয় মামলা। এই ঘটনায় ৬১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করা হয়। সেই তালিকায় ছিলেন তত্কালীন মন্ত্রী ও নারোদা অঞ্চলের বিজেপি বিধায়ক মায়া কোদনানি, প্রাক্তন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা বাবু বজরঙ্গী, স্থানীয় বিজেপি নেতা বিপীন পঞ্চল, কিষাণ কোরানি, অশোক সিন্ধি এবং আইনজীবি রাজু চৌমল।
ঘটনার পরেই ৪৬ জনকে গ্রেফতার করে গুজরাট পুলিস। এর পর, ২০০৮-এ সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিশেষ তদন্তকারি দল আরও ২৪ জনকে গ্রেফতার করে। তবে চার্জ গঠনের আগেই ছ`জনের মৃত্যু হয়। অপর দুই অভিযুক্ত মোহন নেপালি এবং তেজস পাঠক পলাতক।
২০০৯ সালের অগাস্ট মাসে এই মামলার প্রথম শুনানি শুরু হয়। মামলা চলাকালীনই এক অভিযুক্ত, বিজয় শেঠী, মারা যান। প্রত্যক্ষয়দর্শী, নিহত এবং আহতদের পরিজন, ডাক্তার, পুলিস, সরকারি কর্মচারী, সাংবাদিকসহ মোট ৩২৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয় এই মামলায়।
গত ৩০ জুন এই মামলার রায়দান পিছিয়ে দেওয়া হয়। আজ বিশেষ আদালতে মামলার রায়দান।