প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ, কসাভের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখল শীর্ষ আদালত
২৬/১১-র চার বছর পর, আজ আজমল কসাভের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে তার ফাসীর দণ্ড বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। ২০১০-এর ৬ মে মুম্বই হামলায় একমাত্র ধৃত পাকিস্তানি জঙ্গি ২৫ বছরের আজমল কসাভের প্রাণদণ্ডের আদেশ দিয়েছিল মুম্বইয়ের 'অ্যান্টি টেরর' আদালত।
২৬/১১-র চার বছর পর, আজ আজমল কসাভের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে তার প্রাণদণ্ড বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। আজ সকাল ১১টা নাগাদ ৫ মিনিটেই রায় দান করে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি আফতাব আলম এবং সি কে প্রসাদের বেঞ্চ। রায় দানে বলা হয়, "এই অপরাধের অন্য কোনও সাজা হয় না... ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল কাসভ।" ২৬/১১'র মুম্বই হামলার ঘটনায় ১৬৬ জন মারা যান।
তার বিচার নিরপেক্ষ হয়নি বলে যে আবেদন জানিছিল কাসভ, সুপ্রিম কোর্ট আজ সেই আবেদন নস্যাৎ করে দেয়।
২০১০-এর ৬ মে মুম্বই হামলায় একমাত্র ধৃত পাকিস্তানি জঙ্গি ২৫ বছরের আজমল কসাভের প্রাণদণ্ডের আদেশ দিয়েছিল মুম্বইয়ের বিশেষ 'অ্যান্টি টেরর' আদালত। মুম্বই হাই কোর্টও সেই রায় বহাল রাখে।
সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় কসাভ। দেশের শীর্ষ আদালতকে সে জানায় মগজ ধোলাই করা হয়েছিল তার। সেই কারণেই ঈশ্বরের নামে ২৬/১১-র মতো অপকর্ম করিয়ে নেওয়া হয় তাকে দিয়ে। এর ভিত্তিতেই সে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানায়। ২০১১-র ১০ অক্টোবরে প্রাণদণ্ডে স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। কসাভের পক্ষে সওয়াল করার জন্য আইনজীবী রাজু রামচন্দ্রনকে নিয়োগ করে বিচারপতি আফতাব আলম ও বিচারপতি সি কে প্রসাদের বেঞ্চ।
দীর্ঘদিন শুনানি চলার পর গত ২৫ এপ্রিল রায়দান স্থগিত রাখে আদালত। কসাভের পাশাপাশি, মুম্বই হামলা সংক্রান্ত আরেকটি মামলার আজ রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। মুম্বই হামলা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থেকে দুই ভারতীয় ফাহিম আনসারি ও সাবাউদ্দিন আহমেদকে মুক্তি দিয়েছিল বম্বে হাইকোর্ট। সেই রায়কে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকার।