রাজধর্ম পালনে ব্যর্থ মোদী, বলল হাইকোর্ট

'অবহেলা এবং নিষ্ক্রিয়তা'! ২০০২ সালের গোধরা পরবর্তী দাঙ্গার সময় নরেন্দ্র মোদী সরকারের 'ভূমিকা'কে সরাসরি এই ভাষাতেই চিহ্নিত করল গুজরাত হাইকোর্ট।

Updated By: Feb 8, 2012, 05:23 PM IST

'অবহেলা এবং নিষ্ক্রিয়তা'! ২০০২ সালের গোধরা পরবর্তী দাঙ্গার সময় নরেন্দ্র মোদী সরকারের 'ভূমিকা'কে সরাসরি এই ভাষাতেই চিহ্নিত করল গুজরাত হাইকোর্ট। বিচারপতি ভাস্কর ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি জে বি ফারদিওয়ালাকে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ এদিন দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্য প্রশাসনের ঔদাসীন্য এবং নিশ্চেষ্টতার কারণেই উত্‍সাহ পেয়েছিল দাঙ্গাকারীরা। তাদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিল রাজ্যের বহু মুসলিম ধর্মস্থান। দুই বিচারপতির বেঞ্চ এদিন দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্থ সংখ্যালঘুদের ৫০০টি ধর্মীয় স্থান পুনর্নির্মাণ ও সংষ্কারের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য সরকারকে।
'ইসলামিক রিলিফ কমিটি অফ গুজরাত'-এর তরফে ২০০৩ সালে দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে রাজ্যের ২৬টি জেলা আদালতকে দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্থ মুসলিম ধর্মস্থানগুলির পরিচালকদের তরফে আর্থিক অনুদানের আবেদন গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ছ'মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত দাবিগ্রহণের প্রক্রিয়া সেরে ফেলে এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করতে হবে সংশ্লিষ্ট জেলা জজ'দের।

গুজরাত হাইকোর্টের এদিনের রায়কে বিশেষ তাত্‍পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ২০০২ দাঙ্গার সময় গুলবার্গ সোসাইটি গণহত্যাকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে গুজরাত দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগে দায়ের করা একটি আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেনি সুপ্রিম কোর্ট। গুলবার্গ কাণ্ডে নিহত প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরির দায়ের করা মামলাটি আমদাবাদের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফেরত পাঠায় বিচারপতি ডিকে জৈনের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ।
এর পরই বিজেপি'র তরফে দাবি করা হয়, সবরমতী এক্সপ্রেস অগ্নিকাণ্ডের পরবর্তী দাঙ্গাপর্বে 'রাজধর্ম' পালনে শৈথিল্য দেখাননি নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এদিন হাইকোর্টের রায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা প্রশাসনিক কর্তব্য পালনে উপেক্ষার অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নেওয়া হল। আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী এম টি এম হাকিম জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের তরফে সংবিধানের ২৭ নম্বর ধারা ভঙ্গের যে আর্জি জানানো হয়েছিল তা এদিন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটের সময়ে গুজরাত হাইকোর্টের এই রায়কে বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

.