হিন্দু-মুসলিম একে অপরের প্রাণ বাঁচালেন
হিন্দু মুসলিম দ্বন্দ্ব চলছে আর পরবর্তী কালেও চলবে। কিন্তু তার মধ্যেও এমন কিছু ভালোবাসা এবং মানবিকতার নজির থেকে যাবে যা মনকে ছুঁয়ে যায়। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। সেখানে হিন্দু মুসলিম একে অপরকে কিডনি দান করে একে অপরের প্রাণ বাঁচালেন।
ওয়েব ডেস্ক: হিন্দু মুসলিম দ্বন্দ্ব চলছে আর পরবর্তী কালেও চলবে। কিন্তু তার মধ্যেও এমন কিছু ভালোবাসা এবং মানবিকতার নজির থেকে যাবে যা মনকে ছুঁয়ে যায়। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। সেখানে হিন্দু মুসলিম একে অপরকে কিডনি দান করে একে অপরের প্রাণ বাঁচালেন।
গত ২ মাস ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন মহারাষ্ট্রের মুসলিম যুবক মোইজ সিদ্দিকি। নিয়মিত তাঁর ডায়ালিসিসও করানো হচ্ছিল। কিন্তু হঠাত্ই তাঁর দুটো কিডনিই অকেজো হয়ে পড়ে। আর কোনও রাস্তা না পেয়ে চিকিত্সকেরা জানান যে এখনই তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন না করা হলে তিনি মারা যেতে পারেন। ওই যুবকের স্ত্রী নিজের একটা কিডনি দান করতে চান। কিন্তু তাঁর ব্লাড গ্রুপের সঙ্গে তাঁর স্বামীর ব্লাড গ্রুপ মেলে না। এমনকী পরিবারের কারও পক্ষেই ওই যুবকে কিডনি দান করা সম্ভব নয়।
আবার অন্যদিকে মহারাষ্ট্রেরই অন্য এক জেলায় ওই একই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন হিন্দু গৃহবধু নর্মদা সুরেশ। তাঁরও ডায়ালিসিস করার পর চিকিত্সকেরা কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন। ওই গৃহবধুরও পরিবারের কারও সঙ্গে রক্তের গ্রুপ মিলছিল না।
এরকম একটা সময় চিকিত্সকেরা দুটো পরিবারের সঙ্গেই কিডনি প্রতিস্থাপনের বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করেন। জানান যে, যদি তাঁদের দুই পরিবারের সদস্যরা একে অন্যকে কিডনি দান করেন, তাহলে দুটো জীবনই বেঁচে যাবে। চিকিত্সকের এই পরামর্শে হিন্দু গৃহবধুর মা মুসলিম যুবককে কিডনি দান করেন, আর মুসলিম যুবকের স্ত্রী হিন্দু গৃহবধুকে কিডনি দান করেন। কিডনি প্রতিস্থাপনের পর দুজনেই সুস্থ জীবন ফিরে পান।