ব্যাঙ্কে বড় অঙ্কের জমার ওপর নজর রাখছে আয়কর দফতর
পাঁচশো-হাজারের নোট অচল হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন কালো টাকার মালিকরা। অচল নোটের বদলে নতুন নোট পেতে ব্যাঙ্কে যাওয়া ছাড়া গতি নেই। এই অবস্থায় কালো টাকার কারবারিদের জালে তুলতে ব্যাঙ্কে বড় অঙ্কের জমার ওপর নজর রাখছে আয়কর দফতর। নজরদারির ভয়ে কালো টাকার মালিকদের একাংশ তিরিশে ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যাঙ্কে টাকা জমা না দিলে আখেরে দেশের লাভ হবে বলেই মনে করছে কেন্দ্র।
ওয়েব ডেস্ক: পাঁচশো-হাজারের নোট অচল হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন কালো টাকার মালিকরা। অচল নোটের বদলে নতুন নোট পেতে ব্যাঙ্কে যাওয়া ছাড়া গতি নেই। এই অবস্থায় কালো টাকার কারবারিদের জালে তুলতে ব্যাঙ্কে বড় অঙ্কের জমার ওপর নজর রাখছে আয়কর দফতর। নজরদারির ভয়ে কালো টাকার মালিকদের একাংশ তিরিশে ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যাঙ্কে টাকা জমা না দিলে আখেরে দেশের লাভ হবে বলেই মনে করছে কেন্দ্র।
সোমবার কালো টাকার কারবারিদের ফের একবার সতর্ক করল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। মন্ত্রক সূত্রে বলা হয়েছে, পাঁচশো-হাজারের নোট বাতিল হওয়ার পর ব্যাঙ্কে বড় অঙ্কের জমায় নজর রাখছে আয়কর দফতর। ফাঁকি ধরা পড়লেই দিতে হবে কর এবং দুশো শতাংশ জরিমানা। এ ক্ষেত্রে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল করার আগেই নেমে আসতে পারে শাস্তির খাঁড়া।
কৃষিজীবিদের জমা টাকার পরিমাণ বেশি হলে তা হাতে থাকা জমির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা খতিয়ে দেখবেন আয়কর অফিসাররা। জনধন যোজনা ও সমবায় ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টগুলিতেও থাকছে আয়কর নজরদারি। দেশে এই মুহূর্তে টাকার মোট মূল্য ষোলো লক্ষ চল্লিশ হাজার কোটি টাকা।
এর মধ্যে পাঁচশো-হাজারের নোটে রয়েছে চোদ্দো লক্ষ কুড়ি হাজার কোটি টাকা। নোট বাতিলের পর ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে তিন লক্ষ কোটি টাকার পাঁচশো -হাজারের নোট। অর্থমন্ত্রকের আমলারা মনে করছেন, পাঁচশো-হাজারের সব নোট জমা পড়বে না। যে পরিমাণ টাকা জমা পড়বে না ধরে নেওয়া যেতে পারে সেটাই কালো টাকা।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কালো টাকার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর অভিযানে স্বল্পমেয়াদে দেশের অর্থনীতির ওপর ভাল-খারাপ দু-রকম প্রভাবই পড়তে চলেছে। বাজার থেকে আচমকা কালো টাকা উধাও হয়ে গেলে জিনিসের দাম কমবে। তেমনই চাহিদা কমায় অনেকের কাজ হারানোর আশঙ্কাও রয়েছে।