উনিশে বারাণসী থেকে লড়তে না-ও পারেন চোদ্দোর মোদীর প্রতিদ্বন্দ্বী কেজরীবাল
রাজনৈতিক মহলে এখনও পর্যন্ত যা জল্পনা তাতে, বারাণসী এবং পুরী থেকে লড়তে পারেন নরেন্দ্র মোদী। ২০১৪ সালের কেজরীবালের কাছে এই মুহূর্তে ক্ষমতা এবং জনপ্রিয়তা দুটোই রয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: এ বারের বারাণসী কেন্দ্র থেকে সম্ভবত লড়ছেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হেভিওয়েট নেতা তথা প্রধানমন্ত্রীর মুখ নরেন্দ্র মোদীর সামনে গোহারা হেরেছিলেন সদ্য রাজনীতিতে আসা কেজরীবাল। তখনও দিল্লি তখত দখল করেননি তিনি। মোদীর সঙ্গে লড়াইয়ের ব্যবধান বেশি থাকলে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন কেজরীবাল। এমনকি কংগ্রেস প্রার্থী অজয় রায়ের থেকে এক লক্ষের বেশি ভোট পেয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী নজর কেড়েছিলেন। কিন্তু এ বারে নৈব নৈব চ। কেন?
আরও পড়ুন- নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া গেটে শোনা গেল ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান
রাজনৈতিক মহলে এখনও পর্যন্ত যা জল্পনা তাতে, বারাণসী এবং পুরী থেকে লড়তে পারেন নরেন্দ্র মোদী। ২০১৪ সালের কেজরীবালের কাছে এই মুহূর্তে ক্ষমতা এবং জনপ্রিয়তা দুটোই রয়েছে। তার পরেও বারাণসী কেন্দ্রে মোদী দাঁড়ালে কেন তাঁর মুখোমুখি হতে চাইছেন না কেজরীবাল? স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। আম আদমি পার্টির মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বলেছেন, নিজের রাজ্যকেই পাখির চোখ করে এগোতে চাইছেন কেজরীবাল। তাঁর দাবি, গত তিন বছর ধরে দিল্লিতে শিক্ষা, বিদ্যুত, জল, স্বাস্থ্য-সহ নানা ক্ষেত্রে দারুণ কাজ করছে আপ সরকার। বিজেপিকে রুখতে দিল্লিতেই সব শক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে চাইছেন কেজরীবাল।
যদিও সঞ্জয় সিংয়ের এ-ও দাবি, দিল্লি ছাড়া হরিয়ানা, পঞ্জাব, গোয়া-র মতো যে সব রাজ্যে শক্তিশালী সেখানেও কড়া লড়াই দিতে প্রস্তুত আপ। পশ্চিম ও পূর্ব উত্তর প্রদেশের বেশ কিছু জায়গায় প্রার্থীও দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, বারাণসীতে হেভিওয়েট প্রার্থী দিতে পারে আপ। ফেব্রুয়ারি মাসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আপ সাংসদ।
আরও পড়ুন- ভোটের মুখে কল্পতরু কুমারস্বামী, কৃষি ঋণ মুকুব করছে কর্নাটকের কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারও
এর আগে আপ সুপ্রিমো কেজরীবাল এক জনসভায় দাবি করেছিলেন, এই নির্বাচনে একটাও ভোট নয় কংগ্রেসকে। কেজরীবালের মন্তব্যে স্বভাবতই জল্পনা ওঠে, তা হলে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে কি যাচ্ছ না আপ? এ প্রসঙ্গে সঞ্জয় সিং বলেন, দিল্লির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেছিলেন। বিজেপিকে রুখতে কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে নষ্ট করবেন না। কারণ সব আসনেই লড়তে চলছে আপ। উল্লেখ্য, গত নির্বাচনে বিপুল ভোট পেয়ে দিল্লির ৭টি আসনই দখল করে বিজেপি। তবে, বিজেপি ৪৬ শতাংশ ভোট পেলেও উল্লেখযোগ্য ভাবে কংগ্রেসকে ফিকে করে ৩৩ শতাংশ ভোট নিজের দখলে রাখে আপ।