কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্প চালু করেনি দেশের একটিমাত্র রাজ্য, নাম না করে বাংলাকে নিশানা মোদীর

এই প্রকল্পের আওতায় বছরের তিনবার কৃষকদের টাকা দেওয়া হয়। এভাবে বছরে ১ লাখ কোটি টাকা দেওয়া হয় দেশের কৃষকদের

Updated By: Nov 30, 2020, 05:54 PM IST
কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্প চালু করেনি দেশের একটিমাত্র রাজ্য, নাম না করে বাংলাকে নিশানা মোদীর

নিজস্ব প্রতিবেদন: বারাণসীতে আজ ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধনে এসে নাম না করে বাংলাকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

কেন্দ্রের কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্প নিয়ে তিনি বলেন, দেশে একমাত্র একটি রাজ্য কেন্দ্রের এই প্রকল্প চালু করেনি। এই প্রকল্পের আওতায় বছরের তিনবার কৃষকদের টাকা দেওয়া হয়। এভাবে বছরে ১ লাখ কোটি টাকা দেওয়া হয় দেশের কৃষকদের। ওই প্রকল্প চালু না করায় ওই রাজ্যে বঞ্চিত হচ্ছেন লাখ লাখ কৃষক। এর জন্য দায়ী ওই রাজ্যের সরকার। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে চালু হবে ওই প্রকল্প।

প্রধানমন্ত্রীর ওই অভিযোগের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। তিনি বলেন, বাংলার কৃষকরা মমতা সরকারের আমলে বঞ্চিত এটা চরম শত্রুও বলতে পারবে না। বিভিন্ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে বাংলাকে নকল করছে কেন্দ্র। 

আরও পড়ুন-শিবপুর শ্যুটআউট, সবজি বিক্রেতা সেজে বিহারের নাবাদা থেকে মূল অভিযুক্তকে ধরল পুলিস 

উল্লেখ্য, রাজ্যপাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে রাজ্য বিজেপি নেতারা এনিয়ে বারবার সরব হয়েছে। তাঁদের দাবি, মমতা সরকারের ওই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্যের কয়েক লাখ কৃষক তাদের প্রাপ্ত টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আর অন্যান্য রাজ্যের কৃষকরা কেন্দ্রের ওই প্রকল্পের সুবিধে পেয়ে গিয়েছে। এর জন্য রাজ্য সরকারের রাজনৈতিক নীতিই দায়ী।

বারাণসীতে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন কৃষি আইন করা হয়েছে কৃষকরা যাতে ফসলের দাম পান তা মাথায় রেখেই। কিন্তু একসময় দেখা যেতে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে বিরোধীরা। এখন দেখছি এনিয়ে গুজব ছড়ান হচ্ছে। কৃষকদের বিপথে চালিত করার চেষ্টা হচ্ছে।

আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীদের পর এবার করোনা নিয়ে সংসদের সব বিরোধী দলের মুখোমুখি মোদী, শুক্রবার বৈঠক

প্রধানমন্ত্রীর দাবি, নতুন কৃষি আইনে কৃষকদের দেড়গুণ ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।  শুধমাত্র কাগজে কলমেই এই কথা বলা হয়নি। কৃষকের অ্যাকাউন্টে সেই টাকা চলে গিয়েছে। এছাড়াও চাষিদের কাছে এখন গোটা দেশের বাজার খুলে গিয়েছে। এখন যে বেশি দাম দেবে তার কাছেই ফসল বিক্রি করতে পারবে চাষিরা। আগে এই ব্যবস্থা ছিল না।

.