এবার পাকিস্তানকে নতমস্তকে প্রনাম করলেন কংগ্রেসি মন্ত্রী নভজোত্ সিং সিধু
সিধু বলেন, 'পাকিস্তান সরকার দু'পা এগিয়েছে। এবার ভারত সরকারের এক পা এগোনো উচিত।' তিনি বলেন, ভাবনা বদলালেই দুই দেশের দৃষ্টিভঙ্গী বদলাবে। সিধুর দাবি, কর্তারপুরের দরজা দুই দেশকে মেলাতে পারে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ইসলামাবাদে গিয়ে পাক সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলিঙ্গনের পর এবার পাকিস্তানকে 'নতমস্তক'-এ প্রনাম করে বসলেন পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী নভজোত্ সিং সিধু। ভারতীয় জন্য শিখ তীর্থস্থান কর্তারপুর সাহিবের দরজা খুলে দেওয়ার জন্য পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকেও ধন্যবাদ জানান তিনি। সিধু বলেন, মনে হচ্ছে যেন জীবন সার্থক হল।
কৈলাসে কেলেঙ্কারি? রাহুলের তীর্থযাত্রা নিয়ে সরগরম টুইটার!
পাকিস্তানের পদক্ষেপে উত্ফুল্ল সিধু বলেন, 'মনে হচ্ছে যেন জীবন সফল হল। এই সিদ্ধান্তের জন্য বন্ধু ইমরান খানকে নতমস্তকে প্রনাম করি।'
They (Pakistan) are ready to open the corridor of Kartarpur Sahib on the 550 birth anniversary of Guru Nanak Ji. There can be no bigger happiness than this for the people of Punjab: Punjab Minister Navjot Singh Sidhu pic.twitter.com/mBLq5XXXiE
— ANI (@ANI) September 7, 2018
সিধু বলেন, 'পাকিস্তান সরকার দু'পা এগিয়েছে। এবার ভারত সরকারের এক পা এগোনো উচিত।' তিনি বলেন, ভাবনা বদলালেই দুই দেশের দৃষ্টিভঙ্গী বদলাবে। সিধুর দাবি, কর্তারপুরের দরজা দুই দেশকে মেলাতে পারে।
গত মাসে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন পঞ্জাব সরকারের মন্ত্রী নভজোত্ সিং সিধু। ভারত থেকে একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন তিনিই। সিধুর এই সফর নিয়ে যদিও বিতর্ক কম হয়নি। সিধু বলেন, 'আমি সৌহার্দের বার্তা নিয়ে গিয়েছিলাম।' ইমরানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে সিধু বলেন, সত্যিই উনি সহৃদয় ব্যক্তি।
বলে রাখি, গুরু নানকের ৫৫০তম প্রয়ান দিবসে ভারতীয়দের কর্তারপুর সাহিবের দরজা খুলে দেবে বলে ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের ইমরান খান সরকার। ভারত পাকিস্তান সীমান্তে কর্তারপুর সাহিব শিখদের একটি পবিত্র তীর্থস্থান। রাভি নদীর পশ্চিমপাড়ে কর্তারপুর সাহিবের দূরত্ব পঞ্জাব সীমান্ত থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার। দীর্ঘ দিন ধরে এই তীর্থে যাওয়ার অনুমতি চাইছিলেন ভারতে বসবাসকারী শিখরা। অবশেষে মিলল সেই অনুমতি।