Madhya Pradesh: অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে ঠেলাগাড়িতেই অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে চললেন...
একটি পুশ-কার্টে স্ত্রীকে বসিয়ে নিকটস্থ আরোগ্য কেন্দ্রে পৌঁছন স্বামী। কিন্তু সেখানেও তাঁকে হতাশ হতে হয়। সেখানে তখন কোনও ডাক্তার বা নার্স ছিলেন না।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একটি ভিডিয়ো দেশকে একেবারে হতবাক করে দিয়েছে। ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ফল বা আনাজ বিক্রির জন্য ব্যবহৃত ঠেলা গাড়িতে চাপিয়েই হাসপাতালে নিয়ে চলেছেন তাঁর স্বামী। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের দামহ জেলার। স্বামীর নাম কৈলাশ আহিরওয়ার। দামহ জেলার হেডকোয়ার্টার থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে রনেহ জেলারর বাসিন্দা কৈলাশ। মঙ্গলবার তাঁর স্ত্রীর প্রসববেদনা উঠতেই তিনি সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স সার্ভিস নম্বরে (১০৮) ফোন করেন। কিন্তু তাঁর ফোন পেয়ে কোনও অ্যাম্বুল্যান্স আসেনি। এদিকে স্ত্রীর পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে তিনি আর অপেক্ষা করতে চাননি। একটি পুশ-কার্টে স্ত্রীকে বসিয়ে তিনি নিকটস্থ আরোগ্য কেন্দ্রে পৌঁছন।
আরও পড়ুন: Madhya Pradesh: জরাজীর্ণ বাড়ি সারাইয়ের কাজে গিয়ে উদ্ধার প্রাচীন স্বর্ণমুদ্রা! তারপর...
কিন্তু সেখানেও তাঁকে হতাশ হতে হয়। সেখানে তখন কোনও ডাক্তার বা নার্স নেই। ততক্ষণে কোনও ভাবে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে পড়ে। ততক্ষণে কেটেও গিয়েছে ২ ঘণ্টা। আসে একটি সরকারি মাতৃযান। তখন সেই অন্তঃসত্ত্বাকে সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সে স্থানান্তরিত করা হয়। সেই অ্য়াম্বুল্যান্স তাঁকে হাট্টা নামক এক স্থানে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানেও যথাযথ চিকিৎসা মেলার কোনও সম্ভাবনা না থাকায় তাঁকে সেখান থেকে দামহ ডিস্ট্রিক্ট হেলথ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে অবজার্ভেশনে রাখা হয়। শুরু হয় প্রাথমিক দেখভাল, যত্ন।
জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তাঁরা জানতে চেয়েছেন, ওই নম্বরে ফোন করে জানানো সত্ত্বেও ফোন যিনি করেছেন তাঁর কাছে কেন যথা সময়ে আসেনি কোনও অ্যাম্বুল্যান্স। যদি সত্যিই জানা যায়, কেউ এই গাফিলতির জন্য দায়ী তবে তাঁর শাস্তি হবে বলেও জানানো হয়েছে।
কিছুদিন আগে এই রকমই আর একটি ঘটনা ঘটেছিল ভিন্দ জেলায়। এক সপ্তাহ আগের ওই ঘটনায় এক বৃদ্ধকে এই রকম ঠেলাগাড়িতে বসিয়েই হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁর পরিবারের লোকজন। তবে সেবার ওই ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরার জন্য জেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল।