শেলিকে জোর করে বিয়ে করে পরস, জানালেন শেলির বাবা

পরস ভাসিন মৃত্যুরহস্যে মুখ খুললেন শেলির বাবা সতীশ মিত্তল। তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে সতীশ বলেন পরসকে বিয়ে করার জন্য শেলির ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল পরসের পরিবার। এমনকী, শেলির সঙ্গে পরসের দীর্ঘ ৬ বছরের সম্পর্কের কথাও এদিন অস্বীকার করেন সতীশ।

Updated By: Sep 6, 2012, 04:08 PM IST

পরস ভাসিন মৃত্যুরহস্যে মুখ খুললেন শেলির বাবা সতীশ মিত্তল। তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে সতীশ বলেন পরসকে বিয়ে করার জন্য শেলির ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল পরসের পরিবার। এমনকী, শেলির সঙ্গে পরসের দীর্ঘ ৬ বছরের সম্পর্কের কথাও এদিন অস্বীকার করেন সতীশ।
গতকালই পরসের এবং শেলির যৌথভাবে লেখা সুইসাইড নোট পুলিসের হাতে তুলে দেন শেলি। তাঁরা দুজনেই একসঙ্গে আত্মহত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে জানান শেলি। সেই মতোই পরসের মৃত্যুর কিছুদিন আগে দুজনে মিলে সুইসাইড নোটটি লেখেন। বৃহস্পতিবার পুলিসের জেরার মুখে সতীশ জানান, "শেলি শুরু থেকেই খুব নার্ভাস ছিল। ও আমার কাছে সব কথা খুলে বলেছে"। সতীশের বয়ান অনুযায়ী, গত ২৬ অগাস্ট প্রথম মেয়ের বিয়ের কথা জানতে পারেন তিনি। সেদিন সন্ধেবেলা হঠাত্ই শেলির ফোন পান সতীশ। ফোনে শেলি জানান তিনি আর বেঁচে থাকতে চান না। এরপরই মেয়ের সঙ্গে বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হন সতীশ। শেলির সঙ্গে পরসের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে সতীশ বলেন, "শেলি শুরু থেকেই জানত ওর পরিবার কোনওদিনই অসবর্ণ বিয়ে মেনে নেবে না। তাই শুরু থেকেই পরসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এসেছে শেলি"। কিন্তু শেষপর্যন্ত পরসের পরিবারের চাপেই শেলি বিয়ে করতে সম্মত হয়ে বলে এদিন জানান সতীশ।
চার মাস আগে শেলি মিত্তলকে লুকিয়ে বিয়ে করেছিলেন পরস ভাসিন। শুরু থেকেই বাড়ির আপত্তি থাকায় বিয়ের পরও নিজের বাড়িতেই থাকতেন শেলি। পরসের ভাইয়ের বয়ান অনুযায়ী, গত ২৪ অগাস্ট হঠাত্ই বিয়ের কথা বাড়িতে জানান শেলি। তারপর দিনই পরসের পরিবার শেলির মায়ের সঙ্গে একটি মলে দেখা করে। ভাসিনদের এক প্রতিবেশীকে ফোন করে পরসের সম্পর্কে খোঁজখবরও নেন শেলির বাবা। ২৯ অগাস্ট শেষপর্যন্ত শেলির বাবার সঙ্গে দেখা করে পরস। সেদিন পরসের সঙ্গে তাঁর শ্বশুর দুর্ব্যবহার করেন বলে পুলিসকে জানিয়েছেন পরসের ভাই। ঠিক তার দুদিন পর ১ সেপ্টেম্বর পূর্ব দিল্লির এক রেললাইনের ধার থেকে পরস ভাসিনের দেহ উদ্ধার করে পুলিস। পরসের মাথা ধড় থেকে ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। থেঁতলে গিয়েছিল তাঁর শরীরও। প্রথমে আত্মহত্যা বলে চালালেও পরসের পরিবারের চাপে ৩ দিন চাপে খুনের মামলা করে পুলিস।
ইতিমধ্যেই পরসের মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন তাঁর মা নিনা ভাসিন। শেলির পরিবারের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে পুলিসকে প্রভাবিত করার অভিযোগও তুলেছেন তিনি।

.