লোকসভা ভোটের সেমিফাইনাল চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন দোড়গোড়ায় কড়া নাড়ছে, প্রাক নির্বাচনী জনমত সমীক্ষায় স্বস্তিতে নেই কোনও শিবির
চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। ফলে নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে কাটাছেড়া শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রাক নির্বাচনী জনমত সমীক্ষা কোনও শিবিরকেই খুব স্বস্তি দিচ্ছে না। জি নিউজের সমীক্ষা বলছে মধ্যপ্রদেশে বিজেপি জয় পেলেও, পথ খুব মসৃণ হবে না। কংগ্রেসের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বিজেপির।
চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। ফলে নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে কাটাছেড়া শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রাক নির্বাচনী জনমত সমীক্ষা কোনও শিবিরকেই খুব স্বস্তি দিচ্ছে না। জি নিউজের সমীক্ষা বলছে মধ্যপ্রদেশে বিজেপি জয় পেলেও, পথ খুব মসৃণ হবে না। কংগ্রেসের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বিজেপির।
দিল্লির মসনদ দখলে শীলা দীক্ষিতের সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দিতে হবে বিজেপিকে। ছত্তিসগড়ে বিজেপিই ফের ক্ষমতায় ফিরবে বলে একাধিক জনমত সমীক্ষায় উঠে এসেছে।
রাজস্থানে পালাবদলের ইঙ্গিত থাকলেও সবকটি সমীক্ষা একই কথা বলছে না।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন যদি ফাইনাল হয়, তবে সেমিফাইনাল অবশ্যই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যওয়াড়ি এই নির্বাচন দিয়েই শক্তিপরীক্ষা করে নিতে চাইছে রাজনৈতিক দলগুলি। পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে চারটি রাজ্যেই রয়েছে বাড়তি নজর। সেই চার রাজ্য হল দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান,ছত্তিসগড়।
তৃতীয়বারের জন্য কী মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় ফিরবেন শিবরাজ সিং চৌহান? জি-নিউজের সমীক্ষা বলছে ২৩০ আসনের মধ্যে বিজেপির ঝুলিতে থাকবে ১০০ থেকে ১১০টি আসন। কংগ্রেসের দখলে থাকতে পারে ৯৯ থেকে ১০৯টি আসন। বিএসপি জিততে পারে ৫ থেকে ১২টি আসনে। সেক্ষেত্রে বিএসপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপিকে চাপে ফেলতে পারে কংগ্রেস। তবে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কংগ্রেসের জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে পিছনে ফেলেছেন বিজেপির শিবরাজ সিং চৌহান। সমীক্ষায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চৌহানকে চাইছেন ৫১% মানুষ। ৩১% মানুষের পছন্দের প্রার্থী কংগ্রেসের জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
টাইমস নাউয়ের সমীক্ষা বলছে মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিসগড়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে বিজেপি। একদশকের বেশি ক্ষমতায় থাকার পরেও প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়াকে উড়িয়ে দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের মর্যাদা পাবে বিজেপিই। বিজেপি ১৩০টি আসন পাবে বলে মত সমীক্ষার। কংগ্রেস ৮৪ আসনেই থেমে যাবে। ফলে মধ্যপ্রদেশে ক্লিন সুইপ হতে পারে বিজেপির।
রাজস্থানেও বিজেপির জন্য সুখবর শুনিয়েছে এই সমীক্ষা। বিজেপি ১১৮টি আসন এবং কংগ্রেস ৬৪ আসন পাবে বলে অনুমান সমীক্ষার। দিল্লির পালাবদল নিয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত নেই। টাইমস নাউয়ের সমীক্ষা বলছে কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির টক্কর হবে সমানে সমানে। বিজেপি ৩০টি আসন,কংগ্রেসকে ২৯টি আসন দিয়েছে সমীক্ষা।
সিএনএন আইবিএন, দ্য উইক এবং সিএসডিএসের মিলিত সমীক্ষা বলছে দিল্লিতে কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। রাজধানীর বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিশঙ্কু ফলাফলের সম্ভাবনাই বেশি। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি কিং মেকার হয়ে উঠবে। ৭০ আসন বিশিষ্ট বিধানসভায় ১৯-২৫টি আসন পেতে পারে কংগ্রেস। বিজেপির দখলে যেতে পারে ২২থেকে ২৮টি আসন। আম আদমি পার্টির পেতে পারে ১৯ থেকে ২৫টি আসন। সমীক্ষায় মু্খ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে বিজেপি, কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছেন অরবিন্দ কেজরি ওয়াল।
ছত্তিসগড়, মধ্যপ্রদেশে পালাবদলের বিজেপি ক্ষমতায় থাকবে বলে জানিয়েছে সমীক্ষা।
২৩০ আসনের মধ্যে বিজেপি ১৪৮ থেকে ১৬০টি আসন পেতে পারে। কংগ্রেস পেতে পারে ৫২ থেকে ৬২টি আসন।
তবে চার রাজ্যের নির্বাচন এক অর্থে মোদী ম্যাজিকের পরীক্ষাও বটে। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই চার রাজ্যে ভাল ফল হলে তার সিংহভাগ কৃতিত্বই যেত নরেন্দ্র মোদীর ঝুলিতে। তেমনই ফল খারাপ হলে বিজেপি প্রচারিত মোদী-ঝড় নিয়েও প্রশ্ন উঠবে।