সিএএ বিরোধী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তাল উত্তরপূর্ব দিল্লি, নিহত ১ পুলিস কনস্টেবল
সোমবার জাফরাবাদ ও মৌজপুর মেট্রো স্টেশনের মধ্যে দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয় পাথর নিক্ষেপ
নিজস্ব প্রতিবেদন: ট্রাম্পের দিল্লির সফরের আগে সিএএ-র সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ ভয়ঙ্কর আকার নিল রাজধানীর মৌজপুরে। আগুন দেওয়া হল গাড়ি, অটো, পেট্রোল পাম্পে।
হিংসাশ্রয়ী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিস। অন্যদিকে, জনতার মধ্যে থেকে ছোড়া পাথরে প্রাণ হারালেন দিল্লির পুলিসের এক কনস্টেবল। আহত এক ডিসিপি পদ মর্যাদার অফিসার।
আরও পড়ুন-সোনার নকশায় বিংশ শতাব্দীর সিল্ক কোমরবন্ধনী! মেলানিয়ার সাজে ভারতীয় ঐতিহ্যের ছোঁয়া
শনিবার রাত থেকেই উত্তরপূর্ব দিল্লির জাফরাবাদে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে নেমেছেন মহিলারা। রবিবার সেখানে পাথর ছোড়ে সিএএর সমর্থক একদল জনতা। এনিয়ে উত্তজনা তৈরি হয়। পুলিস লাঠিচার্জ করে, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে। সোমবার সকালে আবার শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ।
दिल्ली पुलिस को तीन दिन का अल्टीमेटम - जाफराबाद और चांद बाग की सड़कें खाली करवाइए इसके बाद हमें मत समझाइयेगा , हम आपकी भी नहीं सुनेंगे, सिर्फ तीन दिन@DelhiPolice pic.twitter.com/9ozTazMZew
— Kapil Mishra (@KapilMishra_IND) February 23, 2020
আরও পড়ুন-উগ্র সন্ত্রাসবাদ রুখতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে: ডোনাল্ড ট্রাম্প
সোমবার জাফরাবাদ ও মৌজপুর মেট্রো স্টেশনের মধ্যে দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয় পাথর নিক্ষেপ। গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। দুটি ঘর ও দমকলের একটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ভজনপুরা এলাকায় একটি পেট্রাল পাম্পে আগুন ধরিয়ে দেয় জনতা। আগুন লাগানো হয় একটি গাড়িতেও। ভাঙচুর করা হয় দমকলের গাড়িতেও।
এর মধ্যেই সংঘর্ষের মধ্যে পড়েপ্রাণ হারান দিল্লির পুলিসের এক হেড কনস্টেবল ও এক ডিসিপি। নিহত ওই কনস্টেবলের নাম রতনলাল। তিনি গোকুলপুরীতে কর্মরত ছিলেন। আহত হয়েছেন ডিসিপি শাহদারা অমিত শর্মা। আইন শৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখে দিল্লির ১০ জায়গায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
উল্লেখ্য, রবিবার পুলিসের সামনেই সিএএ-র সমর্থকদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। তিনি বলেন, দিল্লিতে আগুন লেগে থাকুক এটাই এরা চায়। এই জন্যই এরা রাস্তা বন্ধ করে দাঙ্গার পরিস্থিতি তৈরি করছে। আমাদের তরফে কোনও পাথর ছোড়া হয়নি। ডিসিপি সাহেব এখানে রয়েছেন। সবার সামনেই বলছি, ট্রাম্পের যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করব। তারপরে রাস্তা খালি না হলে পুলিসের কথাও শুনব না।