কয়লা কেলেঙ্কারির রিপোর্ট বিভ্রান্তিকর : ক্যাগ
কয়লা কেলেঙ্কারির অভিযোগ কার্যত খারিজ করে দিল কম্পট্রলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (ক্যাগ)। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং'কে লেখা একটি চিঠিতে ক্যাগ জানিয়েছে, নিলাম ছাড়াই বিভিন্ন সংস্থাকে ১৫৫টি 'কোল ব্লক' থেকে কয়লা উত্তোলনের বরাত দেওয়ায় সরকারের রাজস্ব ক্ষতি সম্পর্কিত খবরটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।
কয়লা কেলেঙ্কারির অভিযোগ কার্যত খারিজ করে দিল কম্পট্রলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (ক্যাগ)। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং'কে লেখা একটি চিঠিতে ক্যাগ জানিয়েছে, নিলাম ছাড়াই বিভিন্ন সংস্থাকে ১৫৫টি 'কোল ব্লক' থেকে কয়লা উত্তোলনের বরাত দেওয়ায় সরকারের রাজস্ব ক্ষতি সম্পর্কিত খবরটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর। এটি একেবারেই প্রাথমিক খসড়া। এমনকী এই বিষয়টি তাদের প্রি-ফাইনাল রিপোর্টেও তোলা হয়নি। অডিট রিপোর্ট তৈরির কাজ চলছে। সংবাদপত্রে যে সব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে, তা নিয়ে প্রাথমিক স্তরে আলোচনা চলছে। প্রাথমিক রিপোর্ট ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ক্যাগ'কে চরম অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে চিঠিতে।
প্রসঙ্গত, এদিন সকালে ক্যাগ-এর ফাঁস হওয়া রিপোর্টে জানা যায়, প্রথম ইউপিএ সরকারের জমানায় ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে বিভিন্ন সংস্থাকে দেশের ১৫৫টি `কোল ব্লক` থেকে কয়লা উত্তোলনের বরাত দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রকের তরফে। বেসরকারি কোম্পানিগুলির পাশাপাশি এই তালিকায় ছিল বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাও। ক্যাগ-এর ফাঁস হওয়া ১১০ পাতার খসড়া রিপোর্ট জানায়, এ ক্ষেত্রে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে নিলাম না করে বরাত বণ্টনএবং চুক্তির অতিরিক্ত কয়লা উত্তোলনের ফলে অন্তত ১০ লক্ষ ৬৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। বেআইনি ভাবে মুনাফা করার দায়ে ১০০টি সরকারি-বেসরকারি সংস্থার দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয় ফাঁস হওয়া ক্যাগ রিপোর্টে। ফাঁস হওয়া ক্যাগ রিপোর্ট অনুযায়ী, বেসরকারি কোম্পানিগুলির থেকে ৪ লক্ষ ৭৯ হাজার কোটি এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির কারণে ৫ লক্ষ ৮৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে সরকারের।
বাজেট পাশ হওয়ার পরই ক্যাগ-এর এই রিপোর্ট পেশ করা হবে সংসদে। বাজেট অধিবেশন চলাকালীন কয়লা কেলেঙ্কারির রিপোর্ট ফাঁস হওয়ায় প্রবল চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজনৈতিক মহলে। উত্তাল হয় সংসদ। সংসদের উভয় কক্ষে বিষয়টি নিয়ে সরব হন বাম, বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলির সাংসদরা। বিজেপি সাংসদরা লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল করে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করতে থাকেন। তবে ফাঁস হওয়া রিপোর্টটি খারিজ হয়ে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে দুর্নীতিতে জেরবার ইউপিএ সরকার।