পান মশলা লুঠ করতে গিয়ে পুলিশের জালে ডাকাত, শরীরে মিলল করোনার জীবাণু
নিয়মমাফিক ওই ডাকাতের মেডিকেল টেস্ট করানোর সময় রিপোর্ট দেখে পুলিস ও ডাক্তারদের চক্ষু চড়কগাছ।
নিজস্ব প্রতিবেদন— বিদেশে কখনও যায়নি সে। তবে দেশের মধ্যে আর কোথায় কোথায় গিয়েছে সেটা স্বীকার করছে না। ফলে পুলিশ সন্দিহান। ডাকাতের শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু এল কোথা থেকে! এমনিতেই গোটা দেশে প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। প্রাণহানিও হচ্ছে প্রায় রোজই। লকডাউনের দ্বিতীয় পর্বেও আক্রান্তের সংখ্যা কমার কোনও নামগন্ধ নেই। কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে তা নিয়ে কোনও ধারণা পাচ্ছে না প্রশাসন। সব থেকে চিন্তার বিষয়, সংক্রমিত বহু ব্যক্তির টেস্ট হয়নি। ফলে সংক্রমণের মাত্রা কতদুর ছড়িয়েছে তাঁর ধারণা পাওয়া মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।
ভাদোদরা জেলার দাভোওই তালুকায় পুলিশের জালে ধরা পড়েছে এক ডাকাত। নিয়মমাফিক ওই ডাকাতের মেডিকেল টেস্ট করানোর সময় রিপোর্ট দেখে পুলিস ও ডাক্তারদের চক্ষু চড়কগাছ। তাঁর শরীরে করোনার জীবাণু রয়েছে। স্থানীয় টিম্বি গ্রামের রেল ক্রসিংয়ের কাছাকাছি একটি দোকান থেকে হাজার পাঁচেক টাকার পান মশলা লুঠ করে সেই ডাক্তাত। এমনকী দোকান মালিকের হাতের সোনার আংটি নিয়েও চম্পট দেয় সেই ডাকাত। এর পর দোকানের মালিক মহেশ বারিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। যে গাড়ি নিয়ে ডাকাত এসেছিল ডাকাতি করতে সেটির নম্বরও পুলিশকে জানান মহেশ। ধরা পড়ে সেই ডাকাত। তার পরই সেই ডাকাতকে নিয়ে হুলস্থূল বেধে যায়।
আরও পড়ুন— করোনার হদিশ দিল্লির ডেলিভারি বয়ের শরীরে, কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হলো ৭২টি পরিবারকে
গ্রেফতারের পর সেই ডাকাত জানিয়েছে, ডাভোই এলাকায় একটি বস্তিতে থাকে সে। সেই বস্তিতে রয়েছে ১৫০টি ঘর। সেখানে গাদাগাদি করে থাকেন ৬০০ মানুষ। ওই ডাকাতের শরীরে করোনার জীবাণু ধরা পড়ার পর সেই বস্তিতে অভিযান চালানোর কথা ভাবছে প্রশাসন। কারণ, ওই ডাকাতের তেমন কোনও ট্র্যাভেল হিস্ট্রি নেই। ফলে ওই বস্তিতে আরও কেউ আক্রান্ত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। ওই ডাকাতকে আপাতত জিএমইআরস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। তাঁর চিকিত্সা চলছে বলে জানা গিয়েছে।